আঙ্কারা: কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে ক্ষয়ক্ষতি, ইয়ত্তা নেই তার। উদ্ধারকার্য চালাতে গিয়েও প্রতি পদে বিপত্তি বাধছে (Turkey Earthquake)। এমন পরিস্থিতিতে তুরস্কে আগামী তিন মাসের জন্য জরুরি অবস্থার ঘোষণা করলেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তইপ আর্দোয়ান (Recep Tayyip Erdoğan। দেশের ১০ প্রদেশে এই জরুরি অবস্থা বহাল থাকবে বলে মঙ্গলবার ঘোষণা করলেন তিনি (Turkey-Syria Earthquake)।
দেশের ১০ প্রদেশে এই জরুরি অবস্থা বহাল থাকবে
পর পর ভূমিকম্পে লন্ডভন্ড তুরস্ক এবং তার পড়শি দেশ সিরিয়া। বিগত এক শতকে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখা দেয়নি সেখানে। এখনও পর্যন্ত ৫ হাজারের বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন বলে খবর মিলেছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও বহু মানুষ আটকে রয়েছেন বলে আশঙ্কা। ফলে আগামী দিনে মৃত্যুসংখ্যা আরও তরতর করে বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
মোটামুটি নয় ঘণ্টার ব্যবধানে পর পর দু'টি শক্তিশালী ভূমিকম্পের ধাক্কায় কেঁপে ওঠে তুরস্ক। তার মধ্যে রিখটার স্কেলে একটির তীব্রতা ছিল ৭.৮, অন্যটির ৭.৫। তবে সেখানেই থেমে থাকেনি বিপর্যয়। এর পর একাধিক আফটারশকও অনুভূত হয়। তাতেই শহরের পর শহর ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে। প্রায় ১৫ হাজার উদ্ধারকর্মীকে বিপর্যয় সামলাতে নামিয়েছে সে দেশের সরকার।
আরও পড়ুন: Turkey Syria Earthquake: 'মা কোথায়'? ৪ হাজার ৮০০-রও বেশি লাশের স্তূপের মাঝে প্রশ্ন সাত বছরের বালিকার
কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার কোনও লক্ষণ নেই। কারণ তীব্র শৈত্যপ্রবাহ, বৃষ্টি বার বার উদ্ধারকার্য চালাতে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছ। এমন পরিস্থিতিতে মৃত্যুসংখ্যা আরও বাড়চতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যেই গোটা বিশ্ব থেকে সাহায্য আসতে শুরু করেছে তুরস্কে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও সাহায্য়ের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু মৃত্যুসংখ্যা ৩৫ হাজারে গিয়ে ঠেকতে পারে আশঙ্কা তাদের।
ভূমিকম্প স্থলের আশেপাশেই সেখানে তাঁবু খাটিয়ে রয়েছেন মানুষ
তুরস্ক এবং সিরিয়া, পাশাপাশি দুই দেশ। এক দিকে ইউরোপের প্রবেশদ্বার হিসেবে ধরা হয় তুরস্ককে। পর্যটন শিল্পেও বিপুল জনপ্রিয়তা রয়েছে দেশের। অন্য দিকে, বিগত কয়েক দশক ধরে যুদ্ধ এবং সন্ত্রাসের কবলেই থেকেছে সিরিয়া। তার আঁচ গায়ে লেগেছে তুরস্কেরও। কিন্তু তুরস্কের তুলনায় বিপদ মোকাবিলার ধারেকাছেও নেই সিরিয়া। বর্তমানে ভূমিকম্প স্থলের আশেপাশেই সেখানে তাঁবু খাটিয়ে রয়েছেন মানুষ। তবে এখানেই শেষ নয়, আরও আফটারশক অনুভূত হতে পারে বলে রয়েছে আশঙ্কা।