নয়া দিল্লি: করোনাকালে ফের কৃষক আন্দোলন নিয়ে সরগরম হতে চলেছে দেশ। আগামী ২৬ মে দেশজুড়ে কেন্দ্রের কৃষি আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাবে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদে কৃষকদের উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়েছে ১২ বিরোধী দল।


করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে 'আলগা হয়ে' যায় পরিস্থিতি। কেন্দ্রের তিন কৃষি আইন তুলে নেওয়ার দাবিতে 'ভাটা' পড়ে কৃষক আন্দোলন। ফের দেশজুড়ে 'সলতে পাকাতে' শুরু করেছে সংযুক্ত কৃষক মোর্চা। ২৬ মে কৃষক আন্দোলেনর ৬ মাস উপলক্ষে প্রতিবাদে নামবে তারা। তাদের এই প্রতিবাদে সমর্থন জানিয়েছে ১২ দলের বিরোধী জোট।


যৌথ বিবৃতিতে নাম লিখিয়েছেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভাপতি সনিয়া গাঁধী। স্বাক্ষর রয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী (জেডিএস) এইচডি দেবগৌড়ার। বিবৃতিতে সই করছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কৃষকদের এই প্রতিবাদ কর্মসূচিকে সমর্থন জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। এখানেই শেষ হয়নি তালিকা। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার, ফারুক আবদুল্লা (জেকেপিএ), অখিলেশ যাদব (এসপি), তেজস্বী যাদব (আরজেডি), ডি রাজা (সিপিআই)ছাড়াও সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি।


কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন করে বিবৃতি দিয়েছে ১২বিরোধী দল। তাদের দাবি, কৃষক বিরোধী তিনটি আইন প্রত্যাহার করুক কেন্দ্রীয় সরকার। পাশাপাশি 'মিনিমাম সাপোর্ট প্রাইস' (MSP)C2 + 50 % লাগু করা হোক কৃষকদের স্বার্থে। এমনকী স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ মেনে কৃষকদের স্বার্থে যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হোক। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মহামারী পরিস্থিতির শিকার হচ্ছেন কৃষকরা। অবিলম্বে তিন কৃষক আইন প্রত্যাহার করে অন্নদাতাদের শস্য উৎপাদনের ব্যবস্থা করা হোক। যাতে তাঁরা দেশবাসীকে ফের অন্ন জোগাতে পারেন। 


এখানেই থেমে থাকেনি ১২ বিরোধী দলের দাবি। যৌথ বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় সরকারকে কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা বলেছেন তাঁরা। দেশে কৃষক আন্দোলনের সাম্প্রতিক ইতিহাস বলছে, গত ২২ জানুয়ারি কৃষক নেতাদের সঙ্গে কেন্দ্রের শেষ বৈঠক হয়েছিল। যদিও ফেব্রুয়ারিতে ফের কৃষক নেতাদের আলোচনার টেবিলে বসার আহ্বান জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ফেব্রুয়ারিতে রাজ্যসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ''বিক্ষোভ, আন্দোলন ছেড়ে আলোচনার টেবিলে বসুন। যদি আইনে কোনও ধরনের ফাঁক ফোকর থেকে থাকে তবে তা শুধরে নেওয়া হবে।''