নয়াদিল্লি: জলের সঙ্গে কীটনাশক মিশিয়ে খাওয়ানো হয়েছিল দুই কিশোরীকে। উন্নাওয়ে কিশোরীদের মৃত্যুর ঘটনায় দোষ স্বীকার করে নিল অভিযুক্তরা। গতকাল দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে দোষ স্বীকার করেছে তারা।


পুলিশ জানিয়েছে, উন্নাওয়ের এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে আটক করা হয়। ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে তাঁরা দোষ স্বীকার না করলেও পরে স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। লখনউ পুলিশের আইজি লক্ষ্মী সিংহ জানান, অভিযুক্ত জানিয়েছে, জলের বোতলে কীটনাশক মিশিয়েছিল সে। আরেক অভিযুক্তকে স্ন্যাকস আনতে বলেছিল। ক্ষেতের মধ্যে ওই জলের বোতল কিশোরীদের দিয়ে চলে যায় তারা।


পুলিশ সূত্রে খবর, বিনয় আলিয়াস ওরফে লম্বু এবং জুভেনেলিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুজনে আসোহার পাঠকপুরের বাসিন্দা। বিনয় পুলিশকে জানিয়েছে, দুই কিশোরীর সঙ্গে পরিচয় হয় লকডাউন চলাকালীন। ক্ষেতের মধ্যেই তারা কথা বলত। এক কিশোরীকে তার পছন্দও হয়েছিল। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি ওই কিশোরী। বিনয় জানিয়েছে, আমরা ক্ষেতেই দেখা করতাম। একসঙ্গে খেতাম। একতরফাভাবে ভালবাসতাম। কিন্তু আমার অনুভূতির কথা জানালে ও তাতে রাজি হয়নি। আমি ওর মোবাইল নম্বর চাইলেও ও তা দিতে চায়নি। তাই আমি রেগে গিয়ে ওকে খুন করার সিদ্ধান্ত নিই। পুলিশকে বিনয় আরও জানিয়েছে, এক কিশোরীকে খাওয়ানোর জন্য জলে কীটনাশক মিশিয়েছিল সে। কিন্তু ৩ কিশোরী তা পান করবে সেটা বুঝতে পারেনি।


পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাস্থল থেকে স্ন্যাকসের প্যাকেট সহ সিগারেটের টুকরো, খালি জলের বোতল উদ্ধার করা হয়েছে। বিনয়ের কল রেকর্ডও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। লখনউ পুলিশের আইজি লক্ষ্মী সিংহ জানান, বাবুরাহা গ্রামে জমিও কিনেছিলেন বিনয়। যেটা ঘটনাস্থল থেকে খুব বেশি দূরেও নয়।


উল্লেখ্য, বুধবার উন্নাওয়ের অসোহার বাবুহারা গ্রামের একটি ক্ষেতে থেকে তিন কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। যার মধ্যে আগেই মৃ্ত্যু হয় দুজনের। আরেক কিশোরীর অবস্থা সঙ্কটজনক। কানপুরের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সে।