লখনউ: দুই কিশোরীর মৃত্যুর ঘটনায় খুনের মামলা দায়ের করা হল। বুধবার উন্নাওয়ের অসোহার বাবুহারা গ্রামের একটি ক্ষেতে থেকে তিন কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। যার মধ্যে আগেই মৃ্ত্যু হয় দুজনের। আরেক কিশোরীকে ইতিমধ্য়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


আর এই ঘটনায় ফের শিরোনামে যোগী রাজ্য উত্তরপ্রদেশ। ফিরে এল উন্নাওয়ের স্মৃতি। দুই কিশোরীর বাবার বয়ানের ভিত্তিতে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, কিশোরীর বাবা জানিয়েছেন, মৃত দুই কিশোরীর গলায় ওড়না জড়ানো ছিল। মুখের মধ্যে ছিল ফোম। পুলিশ জানিয়েছে, দুই কিশোরীর বয়স যথাক্রমে ১৩, ১৬, ১৭। বুধবার দুপুরে ক্ষেতে কাজ করতে গিয়েছিল তারা। কিন্তু সন্ধে হয়ে গেলেও বাড়ি ফিরছিল না তারা। এরপরই খোঁজ শুরু করে কিশোরীদের পরিবার।


পুলিশ জানিয়েছে, ক্ষেত থেকে কিশোরীদের পরিবার এবং প্রতিবেশীরাই উদ্ধার করে। তৎক্ষণাত তাদের নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। দুই কিশোরীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। আরেক কিশোরী কানপুরের হাসপাতালে ভর্তি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তার অবস্থা সঙ্কটজনক। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান বিষক্রিয়াতে মৃত্যু হয়েছে দুই কিশোরীর।


উত্তরপ্রদেশ পুলিশের শীর্ষকর্তা এইচ সি আওয়াস্তি জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তে বাইরে থেকে কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে ভিসেরা রিপোর্ট আসার পর। এই নিয়ে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়া হবে। ঘটনার তদন্তে নেমেছেন ৬ জন পুলিশের একটি দল।  মৃত্যু তদন্তের জন্য ওই কিশোরীদের মা এবং দাদার বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে। তবে দুজনের বয়ানে অসংহতি মিলেছে বলে সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। ওই কিশোরীদের দাদা বলেছে, তাদের হাত এবং পা কাপড়ের টুকরো দিয়ে বাঁধা ছিল। পরে তিনি জানান তাঁকে এই বয়ান দিতে বলেছিলেন তাঁর মা।


এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। প্রশ্ন উঠছে মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়েও। প্রশাসনের চরম ব্যর্থতা বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। কীভাবে একসঙ্গে ৩ কিশোরীর সঙ্গে এই ঘটনা ঘটল তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কিশোরীর বয়ান নেওয়া সম্ভব হয়নি।