নয়াদিল্লি : বছর শেষে টাইফুনে বিধ্বস্ত ফিলিপিন্স ( Philippines ) । ২০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ ৫২ জন। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা। শক্তিশালী টাইফুনে ( Typhoon Rai )  ফিলিপিন্স জুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, ফিলিপিন্সের দক্ষিণ ও মধ্য অংশে আছড়ে পড়ে টাইফুন রাই।


ঝড়ের দাপটে ৩ লক্ষেরও বেশি মানুষ বাড়ি ছাড়া। সমুদ্রের ধারে রিসর্টগুলি ক্ষতিগ্রস্ত। বাড়ির ছাদ উড়ে যাওয়ার পাশাপাশি, উপড়ে পড়েছে বড় বড় গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি। প্রবল বৃষ্টিতে প্লাবিত একাধিক গ্রাম। টাইফুনের দাপটে বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র বোহলেই মৃত্যু হয়েছে ৭৪ জনের। পুলিশ, সেনাবাহিনী, উপকূলরক্ষী বাহিনী ও দমকল মিলে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে। 

আবার পড়ুন :


উত্তরোত্তর বাড়ছে মৃতের সংখ্যা, বিধ্বংসী টাইফুনে বিপর্যস্ত ফিলিপিন্স


বৃষ্টি আর ঝোড়ো বাতাল প্রায় ১২০ মাইল প্রতি ঘণ্টা বেগে ধাক্কা মারে দেশের দক্ষিণ-পূর্ব দ্বীপগুলিতে। রাইয়ের প্রভাবে ৩ লাখ  মানুষ ঘর ছাড়া। তাঁদের পাঠানো হয়েছে রিলিফ ক্যাম্পে। দুর্যোগে আহত ২৩৯ জন। ৫০ এর অধিক নিখোঁজ হয়েছে বলে স্থানীয় পুলিশ সূত্রে খবর। উদ্ধারকারী দলগুলি বর্ণনায় রাই কার্যত ধ্বংসলীলা চালিয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা কঠিন, কারণ বেশ কয়েকটি এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ব্যাপক ভূমিধস এবং বন্যায় আরও প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। 


ফিলিপিনস রেড ক্রসের কর্ণধার রিচার্ড গর্ডন বিবিসি-কে জানান, "অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ নেই, যোগাযোগ নেই, খুব কম জল"। "এমন কিছু এলাকা আছে যেগুলো দেখে মনে হচ্ছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের চেয়েও খারাপ বোমা হামলা হয়েছে।" মন্তব্য তাঁর। অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানে সহায়তার জন্য হাজার হাজার সামরিক, উপকূলরক্ষী এবং দমকল কর্মী কর্মরত। এদিকে, ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ঝড়ে বিধ্বস্ত এলাকাগুলো আকাশপথে ঘুরে দেখেছেন। 


বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে সতর্ক করে এসেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে টাইফুনগুলি ক্রমেই শক্তিশালী হচ্ছে।