নয়াদিল্লি : পাখির চোখ লোকসভা ভোট। তার আগে কেন্দ্রীয় নেতা-মন্ত্রীদের মুখ বারবার উঠে আসছে ভারতের দ্রুততম বৃদ্ধির অর্থনীতির দেশ হওয়ার বিষয়টি। তারই মধ্যে দেশে শিক্ষিত-বেকারের সংখ্যা ( unemployment rate ) নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগজনক চিত্র সামনে এল । খোদ সরকারি সমীক্ষাতেই যে পরিসংখ্যান উঠে আসছে, তা ভয়ঙ্কর। সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে, দেশে প্রতি ১০০ জন স্নাতকের মধ্যে প্রায় ১৩ জনই বেকার। ভোটের বাজারে দুটি ইস্যু বরাবর বিরোধীদের মূল হাতিয়ার হয়। বেকারত্ব ও মূল্যবৃদ্ধি। সেখানে খোদ সরকারি সংস্থার করা এই সমীক্ষায় যা দরা পড়ল , তা নিঃসন্দেহে উদ্বেগের। সম্প্রতি সংসদের ভিতর অশান্তির ঘটনায় অভিযুক্তেরা তাদের বেকারত্বের যন্ত্রণা থেকে এই কাজ করেছে, বলে দাবি করেছে বিরোধীরা।
সংবাদ সংস্থা PTI সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান দফতরের সমীক্ষা Periodic Labour Force Survey (PLFS)অনুযায়ী, গত বছরের জুলাই থেকে এ বছর জুন পর্যন্ত একটি সমীক্ষা করা হয়। স্নাতকদের মধ্যেই বেকারত্বের হার ১৩.৪%। যা যথেষ্ট উদ্বেগের বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও বেকারত্বের এই হার গতবছর এই সময়ে আরও বেশি ছিল বলে কেন্দ্রীয় সমীক্ষায় জানানো হয়েছে। আশার কথা, ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সী স্নাতকদের মধ্যে সর্বনিম্ন বেকারত্বের হার এখন চণ্ডীগড়ে, যা ৫.৬ শতাংশ। সংসদে স্মোক-ক্যান হামলায় ধৃতদের মুখে বারবার শোনা গিয়েছিল বেকারত্ব নিয়ে হতাশাজনিত ক্ষোভের কথা। যা নিয়ে সরব হয়েছিল বিরোধীরা। মোদি-সরকার অবশ্য সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। গেরুয়া শিবিরের পাল্টা দাবি, ভারতে এখন বেকারত্বের হার ৩.২%। যা গত ৬ বছরে সব থেকে কম।
Periodic Labour Force Survey (PLFS) এর পরিসংখ্যান অনুসারে,
- আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপে বেকারত্বের হার সর্বোচ্চ ৩৩ শতাংশ
- লাদাখে ২৬.৫ শতাংশ
- অন্ধ্র প্রদেশে ২৪ শতাংশ
- রাজস্থানে ২৩.১ শতাংশ
- ওড়িশায় ২১.৯ শতাংশ
রবিবারই কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী অভিযোগ করেন, ভারতে ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব এবং মুদ্রাস্ফীতি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেশ চালানোর নীতির জন্যই সাম্প্রতিক কালে সংসদে নিরাপত্তা লঙ্ঘনের বিষয়টি ঘটেছে। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেন "চাকরি কোথায়? যুবকরা বেপরোয়া। এ বিষয়ে আমাদের নজর দিতে হবে এবং তরুণদের চাকরি দিতে হবে।'' পাল্টা বিজেপির দাবি, 'ভারতে বেকারত্ব ৩.২%, যা ছয় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।'
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই ঘটনায় ছয় সন্দেহভাজনের মধ্যে, দুজনের পরিবারের সদস্য,- নীলম সিং এবং অমল শিন্ডে বলেন যে তারা বেকারত্বের কারণে ভুগছিলেন।আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন। তার আগে এই সমীক্ষার ফল কি চাপে ফেলবে মোদি সরকারকে ? বলবে সময়।
আরও পড়ুন :
বাংলা অবধি কোল্ড প্যাসেজ, ঝপ করে নামবে তাপমাত্রা, শীতের কামড় কোথায় কোথায়