চেন্নাই: পবিত্র ভারতভূমি আজ ধর্ষকদের খপ্পরে চলে গিয়েছে। প্রতি ১৫ মিনিটে একটা করে ধর্ষণ হচ্ছে এখানে। বললেন মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতি কিরুবাকরণ। তামিলনাড়ুর তিরুপ্পুরে এক পরিযায়ী শ্রমিকের গণধর্ষণ ও উত্তর ভারতের একাধিক ধর্ষণের ঘটনার প্রেক্ষিতে আদালত এই মন্তব্য করেছে।


বরিষ্ঠ আইনজীবী এপি সূর্য প্রকাশম আদালতে একটি এফিডেভিট ফাইল করে অসম থেকে আসা ২২ বছরের ওই পরিযায়ী শ্রমিকের জন্য ন্যায় বিচার, আশ্রয় ও শারীরিক শুশ্রূষা দাবি করেন।   তিরুপ্পুরের পাল্লাদাম এলাকায় ওই তরুণীকে স্থানীয় ৫ বাসিন্দা ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, উপার্জনের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠা তরুণীকে তারা বলে, তারা তাকে চাকরি পাইয়ে দেবে। সূর্য প্রকাশম আদালতকে অনুরোধ করেন, ঘটনায় হস্তক্ষেপ করে হতদরিদ্র ওই নির্যাতিতার জন্য দু’মুঠো খাবার, মাথার ওপর ছাউনি ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে। হাজার হাজার মাইল পেরিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকরা উপার্জনের জন্য আসছেন, তাঁদের সঙ্গে বারবার ঘটছে এমন ঘটনা।

তাঁর অনুরোধ, এ ব্যাপারে কোয়েম্বাটোরের আইজির অধীনে এসআইটি গঠন করা হোক, রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হোক, তারা যেন ক্ষতিপূরণ প্রকল্পের আওতায় নির্যাতিতাকে আর্থিক সাহায্য করে, যাতে তিনি এ রাজ্যে থেকেই তদন্তে সহযোগিতা করতে পারেন।

বিচারপরি এন কিরুবাকরণ ও পি ভেলমুরুগণ প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন, অভিযোগকারিণীর জন্য যেন বিনা পয়সায় চিকিৎসা, আশ্রয় ও খাদ্যের ব্যবস্থা করা হয়, ভিকটিম কমপেনসেশন অ্যাক্টে যেন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় তাঁকে। ভেলমুরুগণ বলেছেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের কোনও নিরাপত্তা নেই, অনেক সময় ন্যূনতম মজুরিটুকুও তাঁদের দেওয়া হয় না। অসম্ভব দারিদ্র্যের মধ্যে দিন কাটাতে হয় তাঁদের।