কলকাতা : ডিসেম্বরেই মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামী জানিয়েছিলেন, উত্তরাখণ্ডে ২০২৫ এর শুরুতেই রাজ্যে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি প্রণয়ন করবে। সোমবার, ২৭ জানুয়ারি থেকেই সারা উত্তরাখণ্ডে কার্যকর হবে এই বিধি। এই বিধি প্রয়োগের ক্ষেত্রে উত্তরাখণ্ডই এদেশে দ্বিতীয়। এর আগে গোয়ায় চালু হয়েছে এই বিধি। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেই উত্তরাখণ্ডের বিধানসভায় পাশ হয়েছিল ঐতিহাসিক অভিন্ন দেওয়ানি বিল। প্রায় একবছর পর অবশেষে কার্যকর হতে চলেছে এই আইন। ২০২২ সালে উত্তরাখণ্ড বিধানসভা ভোটে বিজেপির মুখ্য প্রতিশ্রুতিগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল এই বিল প্রণয়ন করা।
অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর হলে সে রাজ্যে লিভ-ইন সম্পর্কে থাকতে গেলে বাধ্যতামূলকভাবে তা নিবন্ধন করতে হবে। ২১ বছরের থেকে কম বয়সী কেউ যদি লিভ-ইন সম্পর্কে থাকতে চান, তাহলে তাঁর বাবা-মায়েরও অনুমতি লাগবে। উত্তরাখণ্ডের যে কোনো বাসিন্দার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। উত্তরাখণ্ডের কেউ রাজ্যের বাইরে গিয়ে লিভ ইন করলেও মানতে হবে এই নিয়ম। লিভ-ইন সম্পর্কের কথা না জানালে বা মিথ্যা-তথ্য দিলে গুরুতর শাস্তি হতে পারে। তিন মাসের জেল বা ২৫ হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে। এমনকী লিভ-ইন সংক্রান্ত তথ্য সরকারকে জানাতে দেরি করলেও জেল বা ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা দিতে হতে পারে।
ধর্ম যাই হোক না কেন, বিয়ের রেজিস্ট্রেশন করানো বাধ্যতামূলক। রেজিস্ট্রেশন না থাকলে কোনও বিয়েই আইনি স্বীকৃতি পাবে না। আর জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে মহিলাদের ক্ষেত্রে বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ আর ছেলেদের ক্ষেত্রে ২১ হতে হবে। আসলে এই নিয়মের মাধ্যমে সরকার চাইছে, সংসারে জড়িয়ে পড়ার আগে একটি ছেলে বা মেয়ে ন্যূনতম শিক্ষাটুকু পাক। এছাড়া বহুগামিতার প্রবণতা কমানোও এই আইনের অন্যতম লক্ষ্য । সেই সঙ্গে তিন তালাকের প্রবণতা কমিয়ে যাতে সব ধর্মের ক্ষেত্রে ডিভোর্সের নির্দিষ্ট নিয়ম প্রয়োগ করা হয়, সেটাও এই আইনের অন্তর্ভুক্ত। যদিও এই কোড তফশিলি জাতির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। জাতিধর্ম নির্বিশেষে সম্পত্তির উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রেও যাতে একই নিয়ম মানা হয়, তাও নিশ্চিত করবে এই আইন। এছাড়া লিভ-ইন সম্পর্কে থাকা যুগলের সন্তানরাও আইনি মান্যতা পাবে এই আইনে। ছেলে হোক বা মেয়ে, সরকারি রেজিস্ট্রেশনে তার উল্লেখ থাকবে শুধু "সন্তান"বলে, ছেলে না মেয়ে তা লেখা থাকবে না।
আরও পড়ুন :