নয়াদিল্লি: কেন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ-র (Rahul Gandhi Opposes CAA) বিরোধিতা করছেন ওয়েনাড়ের কংগ্রেস সাংসদ? জনসমক্ষে এসে যুক্তি দিয়ে বোঝান, কার্যত চ্য়ালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah On CAA)। এদিন সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শাহ বলেন, 'আপনাকে (সাংবাদিক) অনুরোধ করছি,  এই বিষয়ে রাহুল গাঁধীর বিশদ সাক্ষাৎকার নিন যাতে উনি সাধারণ মানুষকে বোঝাতে পারেন কেন সিএএ-র বিরোধিতা করছেন। রাজনীতিতে, আপনি যে সিদ্ধান্তই নেন না কেন, তার ব্যাখ্যা দেওয়া আপনারই দায়িত্ব।'


তর্ক-বিতর্ক...
সিএএ নিয়ে তরজা ২০১৯ সাল থেকেই দেখে এসেছেন এ দেশের মানুষ। যদিও বিজেপির তরফে বার বার দাবি করা হয়, সিএএ লাগু হবেই। গত সোমবার সন্ধ্যায় সিএএ রুল নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কেন্দ্র, গোটা দেশে বলবৎ হয় ওই আইন। তার পর থেকে নতুন করে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। যেমন আইনটি লাগু করার জন্য যে সময় বেছে নেওয়া হল, সে নিয়ে সরব হন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। লোকসভা ভোটের মুখে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আসা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার এই আইন বলবৎ করা নিয়ে তীব্র সমালোচনা শোনা গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখেও। যদিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'রাহুল গাঁধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা অরবিন্দ কেজরিওয়াল-বিরোধীদের প্রত্যেকেই মিথ্য়ার রাজনীতি করছেন। তাই কোন সময়ে এটি চালু হল, সেই প্রশ্ন অপ্রাসঙ্গিক। ২০১৯ সালের ইস্তেহারে বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আসা শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। বিজেপির স্পষ্ট অ্যাজেন্ডা ছিল, ২০১৯ সালে সংসদের দুই কক্ষে বিলও পাশ হয়ে যায়। কিন্তু অতিমারীর কারণে তা লাগু হতে দেরি হয়ে গেল।'
যাঁরা বিরোধিতা করছেন, তাঁদের উদ্দেশে এদিন কড়া বার্তা ছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। একদিকে যেমন তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে শরণার্থী এবং অনুপ্রবেশকারীর মধ্যে পার্থক্য মনে করিয়েছেন, অন্য দিকে রাহুল গাঁধীর উদ্দেশে তাঁর বার্তা, 'আমাকে, আমার দলের অবস্থান, আমার সরকারের সিদ্ধান্ত এবং কেন এই সিদ্ধান্ত দেশের পক্ষে জরুরি- এর ব্যাখ্যা দিতে হচ্ছে। একই ভাবে, রাহুল গাঁধীও ব্যাখ্যা দিন কেন তিনি এই আইনের বিরোধিতা করছেন।'


প্রেক্ষাপট...
ভোট এলে সিএএ নিয়ে তরজা যে নতুন করে মাথাচাড়া দেয়, সেটা এখন আর অজানা নয়। কিন্তু ভোটের মুখে এই আইনের লাগু হওয়ার বিষয়টির মধ্যে অন্য তাৎপর্য রয়েছে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের একাংশের।


আরও পড়ুন:আমেরিকার দুই সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন নিয়ে পড়ার সুযোগ, তরুণীকে সংবর্ধনা সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের