নয়াদিল্লি: 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী করা', দিল্লিতে বিজেপির জাতীয় কনভেনশন (BJP National Convention) থেকে মন্তব্য অমিত শাহের (Union Home Minister Amit Shah)। লোকসভা ভোটের আগে, নয়াদিল্লিতে, দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে নির্বাচনী হিংসার প্রসঙ্গও উঠে এল শাহের কথায়। অভিযোগ করলেন, 'বাংলায় শতাধিক বিজেপি কর্মী খুন হয়েছেন। বাংলার নির্বাচন মানেই দুর্নীতি আর হিংসা।'


বিরোধীদের আক্রমণ...
দুর্নীতি প্রশ্নে এদিন বিরোধী 'ইন্ডিয়া' জোটের দলগুলিকে তীব্র আক্রমণ শানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বলেন, 'মোদিজির লক্ষ্য আত্মনির্ভর ভারত। সে জন্য ২০৪৭ সালের লক্ষ্য স্থির করেছেন। কিন্তু সনিয়াজির উদ্দেশ্য রাহুল গাঁধীকে প্রধানমন্ত্রী করা, পওয়ারজির উদ্দেশ্য় মেয়েকে মুখ্যমন্ত্রী করা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্য় ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রিত্বে বসানো... '  জোটের দলগুলির বিরুদ্ধে 'পরিবারতন্ত্রের' চেনা অভিযোগেও সুর চড়াতে শোনা যায় তাঁকে। শাহের প্রশ্ন, 'যাঁরা শুধু নিজের ছেলে-মেয়ে-ভাইপোর স্বার্থসিদ্ধির কথা ভাবেন, তাঁদের দ্বারা গরিব মানুষের উপকার কি সম্ভব?'
ঘটনা হল, 'পিসি-ভাইপো' শব্দবন্ধের ব্যবহার করে আক্রমণ আগেও শোনা গিয়েছে বিজেপি নেতাদের মুখে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা যেমন, গত বছর অগাস্টে বলেছিলেন, 'বিহারের লালু-তেজস্বী, বাংলায় পিসি-ভাইপো। অন্ধ্র, তেলঙ্গানা, তামিলনাড়ু সব জায়গায়,সব দলে পরিবারের পার্টি। কংগ্রেস ইন্দিরা গাঁধীর আমল থেকে বলে আসছে গরিবি হঠাও। ওঁদের গরিবি চলে গিয়েছে, কিন্তু দেশের গরিবি যায়নি।' কেন্দ্রীয় নেতাদের সুরে সুর মিলিয়ে তীব্র আক্রমণ শানাতে শোনা গিয়েছে বিজেপির রাজ্য নেতাদেরও। কখনও শুভেন্দু অধিকারী, কখনও সুকান্ত মজুমদার--- বার বার সরব হয়েছেন তাঁরা। গত মাসে, হাওড়ায় দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের ঘটনায় পরিস্থিতি পরিদর্শনে যেতে গেলে সুকান্ত মজুমদারকে আটকায় পুলিশ। পরে রাজ্য বিজেপির থানা ঘেরাও কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনা তৈরি হয়। তাতে 'পিসি চোর, ভাইপো চোর', স্লোগান দিতে শোনা গিয়েছিল রাজ্য বিজেপি সভাপতিকে। মাসনয়েক আগে পটাশপুরের এক সভায় আবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে বলতে শোনা যায়, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খেলাটা দেখেছেন, এবার আমাদের খেলা দেখবেন। পার্থ-অর্পিতা জেলে। পিসি-ভাইপো বাকি আছে, ওটাও হয়ে যাবে।'


বিশদ...
লোকসভা ভোটের আগে এদিন কংগ্রেস-সহ বিরোধী জোটের সবকটি দলেরই তীব্র সমালোচনা করেন শাহ। এক দিকে দুর্নীতি, অন্য দিকে পরিবারতন্ত্র--দুই অস্ত্র শানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বোঝাতে চান, 'ইন্ডিয়া' জোটের উল্টো দিকে দাঁড়িয়ে থাকা মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ প্রথমত ও শেষত উন্নয়নের কথাই বলে। দুই বিকল্পের মধ্যে কোন দিকে যাবেন সাধারণ মানুষ? প্রশ্ন শাহের, উত্তর স্পষ্ট হতে অপেক্ষা আরও কয়েক মাসের।   


আরও পড়ুন:BJP থেকেই চার জন, সঙ্গে নবীন পট্টনায়েক, জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রীদের তালিকা সামনে এল