নয়াদিল্লি: রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী পদে অধিষ্ঠিত না হলেও, রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা কম নয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদেরও। জাতীয় স্তরের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তাঁরা। কিন্তু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে জনপ্রিয়তায় কে এগিয়ে, কে পিছিয়ে, এবার সেই তালিকা সামনে এল। (Most Popular CMs)
গ্রহণযোগ্যতার নিরিখ বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে সম্প্রতি একটি সমীক্ষা করা হয়, তাতে একেবারে শীর্ষ স্থানে রয়েছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। তাঁর গ্রহণযোগ্যতা ৫২.৭ শতাংশ। ৭৭ বছর বয়সি নবীন ২০০০ সালের মার্চ থেকে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী। দেশের অন্যতম দীর্ঘমেয়াদি মুখ্যমন্ত্রী তিনি। (Popular Chief Ministers)
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তাঁর গ্রহণযোগ্যতা ৫১.৩ শতাংশ। উত্তরপ্রদেশের ২১তম মুখ্যমন্ত্রী যোগী।২০১৭ সাল থেকে পদে রয়েছেন তিনি। সব মিলিয়ে প্রায় সাত বছর পদে রয়েছেন, যা উত্তরপ্রদেশের ইতিহাসে তাঁকে রাজ্যের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি মুখ্য়মন্ত্রী করে তুলেছে।
আরও পড়ুন: PM Narendra Modi:আগামী ১০০ দিনে প্রত্যেক ভোটারের আস্থা অর্জন করতে হবে, দলীয় সদস্যদের বার্তা মোদির
দেশের তৃতীয় জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী অসমের হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তাঁর জনপ্রিয়তা ৪৮.৬ শতাংশ। বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য একাধিক বার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন তিনি। কংগ্রেস থেকে BJP-তে গিয়েছিলেন। সম্প্রতি 'ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা'র সময় কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধীর সঙ্গে সংঘাতে জড়ান।
চতুর্থ স্থানে রয়েছেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেল। তিনি ৪২.৬ শতাংশ জনপ্রিয়। পৌরসভার কাউন্সিলর থেকে বিধায়ক হন। তার পর ধাপে ধাপে মুখ্যমন্ত্রীর পদে উন্নীত হন। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিজয় রুপাণি হঠাৎ ইস্তফা দিলে, দু'দিন পরই শপথ নেন ভূপেন্দ্র। এর পর ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন। ২০২২ সালের ১২ ডিসেম্বর ফের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছেন। তাঁর জনপ্রিয়তা ৪১.৪ শতাংশ। বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য একাধিক বার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন তিনি। দন্ত চিকিৎসক মানিক রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। আগে কংগ্রেসের ছিলেন। ২০১৭ সালে BJP-তে যোগদান করেন। ২০২২ সালের মার্চ মাসে রাজ্যসভাতেও নির্বাচিত হন। সেই বছরই মে মাসে বিপ্লবকুমার দেব মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন। একদিন পর ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন মানিক। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে আবারও মুখ্যমন্ত্রী হন।