নয়াদিল্লি : চুক্তি হয়েছিল এক বছর আগেই। সেই অনুযায়ী চলছিল প্রস্তুতি। এবার ভারতীয় নৌবাহিনীতে আসতে চলেছে তিন ঘাতক আমেরিকান চপার। আগামী বছর জুলাইতেই ভারতের মাটি স্পর্শ করবে এই কপ্টারগুলি।


২০২০ সালেই আমেরিকার সঙ্গে MH-60 Romeo চপার নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল ভারতের। সেই অনুযায়ী, ভারতকে মোট ২৪টি MH-60 Romeo চপার দেওয়ার কথা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। যাতে ভারতের খরচ পড়বে ১৬,০০০ কোটি টাকা। মার্কিন কোম্পানি লকহিড মার্টিনের সঙ্গে 'গভর্নমেন্ট টু গভর্নমেন্ট' এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। মূলত, চুক্তিতে যাতে দেরি না হয়, তাই এই রাস্তায় হাঁটে ভারত সরকার।


সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই আমেরিকায় এই মাল্টি রোল চপার চালানোর প্রশিক্ষণ নিতে গিয়েছে ভারতীয় বিমানচালকরা। আগামী বছর জুলাই মাসে তিনটি চপার ভারতে নিয়ে আসবেন তাঁরা। প্রথমে ফ্লোরিডার পেনসাকোলায় এই প্রশিক্ষণ নেবেন পাইলটরা। পরবর্তীকালে ক্যালিফোর্নিয়ার স্যান ডিয়েগোতে আসতে হবে তাদের। সেখানেই হবে শেষ দফার প্রশিক্ষণ। চলতি বছরের জুলাইতেই তাদের হাতে চপার সপে দেবে আমেরিকা। যা নিয়ে চলবে প্রশিক্ষণ।


সূত্রের খবর, ভারতের শত্রু দেশের কাছে এই ফাইটার চপারস খুবই চিন্তার কারণ। চপারে রাডার লাগানো থাকায় সহজেই বিপক্ষের মিসাইল হানা ধরা পড়বে মাল্টি রোল কপ্টারে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দেওয়ার ফলে রয়েছে নাইট ভিশন মোড। যার জেরে শত্রুর ওপর রাতেও হামলা করতে সক্ষম এই আমেরিকার চপার। এ ছাড়াও হেলফায়ার মিসাইল, টরপেডো নিখুত নিশানায় মারতে সক্ষম এই অত্যাধুনিক মেশিন। ভারতীয় নৌবাহিনীর সি-কিংসের জায়গা নেবে এই চপারগুলি। খুব তাড়াতাড়ি সি-কিংস চপারগুলি সরিয়ে দিতে চলেছে বাহিনী।


ভারত ও চিনের নৌবাহিনীর শক্তি বলছে, সাবমেরিনের ক্ষেত্রে সংখ্যার দিকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে ড্রাগন আর্মি। মূলত ,জলক্ষেত্রে চিনের সাবমেরিনকে সনাক্ত করতে এই চপার বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের অনুমান, শত্রুর সাবমেরিনকে খুঁজে ওপর থেকেই মারতে সক্ষম এই চপারগুলি। একই কথা বলছে, ভারতীয় নৈবাহিনীর সূত্র। সাবমেরিন শিকারি হিসাবে এই চপারের নিপুণ নিশানায় হামলা চালাতে সক্ষম। এ ছাড়াও সমুদ্রে উদ্ধারকাজ টানা বহু ঘণ্টা খোঁজ চালাতে দক্ষ এই MH-60 Romeo। এখানেই শেষ নয়। যুদ্ধ জাহাজেও হামলা চালাতে পারে 
এই কপ্টার। একাধারে রণতরী, এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার থেকে উড়ান ভরতে পারে এই আমেরিকান চপার। 


তবে শুধু চপারেই শেষ নয়।আগামী দিনে দেশের অস্ত্রাগার আরও শক্তিশালী করতে আমেরিকার থেকে প্রিডেটর ড্রোন কিনতে পারে ভারত। ইতিমধ্যেই সেই নিয়ে আলোচনা অনেকটাই এগিয়েছে।