লখনউ: আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে এক হাজার বাসের বন্দোবস্ত করেছিলেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। কংগ্রেস নেত্রী বাস চালানোর অনুমতি চেয়ে চিঠি লিখেছিলেন রাজ্য সরকারকে। আবেদনের দুদিন বাদে সোমবার ঘরে ফিরতে উদগ্রীব পরিযায়ী শ্রমিকদের নিজেদের রাজ্যে পাঠাতে কংগ্রেসকে ১০০০টি বাস চালানোর অনুমতি দিল যোগী আদিত্যনাথ প্রশাসন। রাজ্য সরকার কংগ্রেসের বাস চালানোর প্রস্তাব গ্রহণ করেছে বলে লিখিত চিঠিতে জানিয়েছেন অতিরিক্ত মুখ্যসচিব অবনীশ অবস্থি। প্রিয়ঙ্কাকে হাজার বাস, সেগুলির চালক ও কন্ডাক্টরদের বিস্তারিত তথ্য পাঠাতে বলেছেন তিনি।
প্রিয়ঙ্কার অনুরোধকে শুরুতে গুরুত্ব না দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগ করেছিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। তিনি যেদিন ভিডিও বার্তায় বাস চালানোর অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিলেন, সেদিনই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন তাঁর ভাই রাহুল গাঁধী, রাস্তায় নেমে পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে তাদের সমস্যা, অভাব নিয়ে আলোচনা করায় ‘ড্রামাবাজি’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন। গতকালই উত্তরপ্রদেশের উপ মুখ্যমন্ত্রী দীনেশ শর্মা কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেন, প্রিয়ঙ্কার উচিত নিজের দলের রাজ্য সরকারগুলিকে আরও বেশি বাস চালাতে বলা কেননা তারা পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কম ট্রেন চেয়েছে।
প্রিয়ঙ্কার আবেদনের আগের দিন ভোরেই উত্তরপ্রদেশের আওরিয়ায় একটি ট্রাকের সঙ্গে একদল পরিযায়ী শ্রমিককে নিয়ে যাওয়া ট্রাকের ধাক্কা লাগলে ২৪ জনের মৃত্যু হয়। এরা সবাই পরিযায়ী শ্রমিক। গত কয়েকদিনে এমন বেশ কয়েকটি ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, কোনও জায়গায় যাতে পরিযায়ী শ্রমিকরা হেঁটে বা বিপজ্জনক ভাবে ঘরের লক্ষ্যে না এগোন, তা সুনিশ্চিত করতে সব থানায় টিম তৈরি করতে হবে।
প্রিয়ঙ্কা বলেছিলেন, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী, আপনাকে আবেদন করছি, এটা রাজনীতির সময় নয়। আমাদের বাস সীমান্তে দাঁড়িয়ে আছে। কয়েক হাজার শ্রমিক, পরিযায়ী লোকজন যাবতীয় বাধা সত্ত্বেও নিজেদের ঘরে ফিরছেন হেঁটে হেঁটে। সঙ্গে জল, খাবার কিছুই নেই। ওদের পাশে থাকি আসুন। আমাদের বাসগুলোকে যাওয়ার অনুমতি দিন। ট্যুইট করেও একই আবেদন করেন। প্রিয়ঙ্কা উত্তরপ্রদেশ সীমান্তে অপেক্ষায় থাকা বেশ কয়েকটি খালি বাসের ভিডিও পোস্ট করেন। তাঁর আবেদনের ব্যাপারে উত্তরপ্রদেশ সরকারের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় না থেকে তিনি বাসের বন্দোবস্ত করতে বলেছিলেন কংগ্রেস কর্মীদের। রাজস্থানের মন্ত্রী বিশবেন্দ্র সিংহ দাবি করেন, বাসগুলিকে উত্তরপ্রদেশে ঢোকার অনুমতি দেয়নি যোগী সরকার।