নয়াদিল্লি: উত্তরপ্রদেশ বোর্ড পরীক্ষায় নিজে ৮৩ শতাংশ পেলেও তার চেয়ে ২ শতাংশ বেশি নম্বর পেয়েছে বন্ধু। আর সেই অভিমানেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করল বছর পনেরোর কিশোরী। মারাত্মক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের কল্যাণনগর থানা এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দশম শ্রেণির ছাত্রী অমিষা (১৫) ইউপি বোর্ড পরীক্ষায় ৮৩ শতাংশ নম্বর নিয়ে পাশ করেছিল। কিন্তু তার বন্ধু পেয়েছিল ৮৫ শতাংশ নম্বর। কানপুরের এসএসপি দীনেশ কুমার
সাংবাদিকদের বলেন, এখনও পর্যন্ত কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার করা যায়নি। মৃতের পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন যে গত শনিবার পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই রীতিমতো মুষড়ে পড়েছিল অমিষা।
তার বাবা শ্রাবণ কুমার নিষাদ জানান, বন্ধু যে পরীক্ষায় ওর থেকে বেশ খানিকটা বেশি নম্বর পেয়ে যাবে, এটা ও কোনও অবস্থাতেই মেনে নিতে পারেনি। পরীক্ষায় ভালো ফল করেও অমিষা হতাশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিল। আর তা থেকেই এমন একটা মারাত্মক কাজ করে বসেছে। বাবা, মা, ভাই-সহ অমিষার পরিবারের সকলে স্বাভাবিক কারণেই শোকে বাকরুদ্ধ। তাঁরা পুলিশে কোনও অভিযোগ পর্যন্ত জানাতে যেতে পারেননি। কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছেন তাঁরা।
অমিষা যে সময়ে আত্মঘাতী হয়, তখন তার বাড়িতে বাবা-মা ছিলেন না। তার ভাই পাশের ঘরে থাকলেও দুপুরে খাওয়ার পর ঘুমোচ্ছিল। বিকেলবেলা দিদিকে ডাকতে গিয়ে দেখে দরজা ভিতর থেকে বন্ধ রয়েছে। সন্দেহ হওয়ায় পড়শিদের সাহায্য নিয়ে সে ঘরের দরজা ভেঙে ফেলে। তখনই দেখতে পায় অমিষার ঝুলন্ত মৃতদেহ।