লখনউ: আন্তর্জাতিক মানচিত্রে অযোধ্যাকে নতুন পরিচয় দেওয়ার চেষ্টার ত্রুটি করছেন না উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। দীপোৎসব থেকে রাম লীলা, উত্তর প্রদেশে সরকার গড়ার পর থেকে অযোধ্যায় তিনি একের পর এক আন্তর্জাতিক মানের অনুষ্ঠান করেছেন। এবার অযোধ্যায় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৈরির মাস্টারপ্ল্যান করেছেন তিনি।

বিশ্বের পর্যটন মানচিত্রে অযোধ্যাকে নিয়ে আসা পাখির চোখ করেছেন যোগী। আধুনিক বৈদিক শহর হিসেবে তুলে ধরছেন নব্য অযোধ্যাকে। এখানেই হবে রামচন্দ্রের বিশালতম মন্দির, থাকবে রামচন্দ্রের বিশাল মূর্তিও, যা বিশ্বের উচ্চতম মূর্তি হতে পারে। যাঁরাই এখানে পুজো দিতে আসবেন, তাঁরাই অভিভূত হবেন এই মূর্তির সৌন্দর্য ও বিশালত্বে। এ ব্যাপারে কাজ শুরু হয়েছে, আরও অনেক কাজ হবে ক্রমে ক্রমে। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করছে এ ব্যাপারে।

অযোধ্যায় রেলের ডাবল লাইন করা হচ্ছে। রেল স্টেশনের সৌন্দর্যায়ন চলছে, ভবিষ্যতের কথা ভেবে তা বর্ধিতও করা হয়েছে আগের থেকে। অযোধ্যা থেকে সুলতানপুর পর্যন্ত তৈরি হচ্ছে ৪ লেনের রাস্তা, যা বিমানবন্দরে পৌঁছে যাবে। অযোধ্যা ধামে যাওয়ার জন্য সোহাওয়াল থেকে বিক্রমজোট পর্যন্ত বাইপাস তৈরির প্রস্তাব জমা দিয়েছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। ১৫০০ কোটি টাকায় রায় বরেলি থেকে অযোধ্যা পর্যন্ত ৪ লেনের রাস্তাও তৈরি হবে।

সম্প্রতি পর্যটন বিভাগের পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, অযোধ্যাকে গ্লোবাল সিটি হিসেবে তুলে ধরতে একটি কনসালট্যান্ট সংস্থার সাহায্য নিতে চলেছেন তাঁরা। পুণ্যতোয়া সরযূ নদীর গতি ও পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে একটি আধুনিক পয়ঃপ্রণালী প্ল্যান্ট তৈরি হচ্ছে এখানে। এ জন্য খরচ হচ্ছে কয়েকশো কোটি টাকা।

পাশাপাশি তৈরি হচ্ছে দশরথ মহল, সৎসঙ্গ ভবন, প্যাসেঞ্জার অ্যাসিস্ট্যান্স সেন্টার ও নাইট শেল্টার। এ জন্য খরচ হবে ২৪২ লাখ টাকা। ছাজান এলাকায় তৈরি হবে ২৮৮ লাখ টাকার বিনিময়ে লাস্টি পারপাস হল, পঞ্চ কোশী পরিক্রমা মার্গে ১৯৭ লাখ টাকায় দিগম্বর এরিনা। ৫২৪ লাখ টাকায় তৈরি হবে ড্রাইভিং ট্রেনিং ইনস্টিটিউট।