ইলাহাবাদ: দেশজোড়া বিতর্কের (controversy) মুখে পড়ে আপত্তিকর মন্তব্যের (comment) জন্য ক্ষমা (Apology) চাইলেন উত্তরপ্রদেশের (UP) মন্ত্রী (minister) তথা নিশাদ পার্টির প্রধান সঞ্জয় নিশাদ (Sanjay Nishad) । দলীয় কর্মীদের কুকুর (dog)-গাধাকে (donkey) দেখে শেখার পরামর্শ দিয়েছিলন যোগী রাজ্যের এই মন্ত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় মন্ত্রীর মন্তব্যের ভিডিও।
কী বললেন মন্ত্রী?
বিষয়টি নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয় গোটা দেশে। সঞ্জয় প্রথমে দাবি করেন, তাঁর মন্তব্যের অপব্যাখ্যা করা হয়েছে। কিন্তু তার পরও বিতর্কের আগুন নেভেনি। শেষমেশ ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলেন যোগী রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী। বললেন, মুখ ফস্কে এমন কথা বলে ফেলেছেন। তাঁর কথায়, 'আমি আসলে যেটা বলতে চেয়েছিলাম, সেটা হল যে পশুরাও নিজেদের রক্ষা করতে পারে। বছরের পর বছর ওঁরা কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, এবং বিএসপি-র বোতাম টিপে আসছেন। তাই ওঁদের একটা উদাহরণ দিয়ে বোঝাতে চেয়েছিলাম। তবে কথাগুলি মুখ ফস্কে বেরিয়ে গিয়েছে...আমি ফিরিয়ে নিচ্ছি।' এর পরেই অবশ্য তাঁর সংযোজন, 'আমার কথাগুলি সমর্থন করার জন্য সম্প্রদায়কে ধন্যবাদ। আমাদের ধমনীতে নিশাদ গুহরাজ মহারাজের রক্ত বইছে। কিন্তু গত সরকার এই রক্তকেই ঠান্ডা করে রেখেছিল।'
কেন বিতর্ক?
যে ভিডিও ঘিরে বিতর্কের সূত্রপাত তাতে ঠিক কী বলেছিলেন উত্তরপ্রদেশের মৎস্যমন্ত্রী? একটি সভায় তিনি বলছেন, 'সন্তানদের জন্য আপনারা কী করেছেন? কেউ যদি কুকুরছানার সঙ্গেও অসভ্যতা করে, তা হলে তার মা তার দেহ থেকে মাংস খুবলে নেয়। কুকুরদেরও তাদের সন্তানের জন্য ভালোবাসা রয়েছে।' এতেই থামেননি তিনি। আসে গাধার প্রসঙ্গও। বলেন, 'এই প্রাণীটি যাকে কিনা মস্তিষ্কের ক্ষমতার নিরিখে সবচেয়ে দুর্বল বলে মনে করা হয়, সেও তার উপরে চেপে থাকা মানুষটিকে তার শত্রু বলে মনে করে। আর আপনারা একই শত্রুকে গত ৭০ বছর ধরে নির্বাচন করে আসছেন।' ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। এর সত্যতা আলাদা ভাবে যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ। তবে স্থানীয় সূত্রে খবর, সম্ভবত উত্তরপ্রদেশের বালিয়ায় এই মন্তব্য করেছিলেন সঞ্জয় নিশাদ। তার পর থেকে বিতর্ক তুঙ্গে। লাগাতার চাপের মুখে প্রথমে তিনি বোঝানোর চেষ্টা করেন যে তাঁর মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। কিন্তু শেষমেশ সেই ব্যাখ্যা থেকে সরলেন। ক্ষমা চাইলেন। সঙ্গে জানালেন, মুখ ফস্কে বেরিয়ে গিয়েছে।