ফ্লোরিডার রিপাবলিকান সেনেটর মার্কো রুবিও ওই চিনা দূতাবাসকে ‘কমিউনিস্ট পার্টির বিশাল চরবৃত্তির নেটওয়ার্কের মূল ঘাঁটি’ বলেছেন। তাঁর দাবি, হিউস্টনের চিনা কনস্যুলেট কূটনীতির জায়গা নয়, কমিউনিস্ট পার্টির বিশাল চরবৃত্তির নেটওয়ার্কের কেন্দ্র, ওরা আমেরিকায় কলকাঠি নাড়ে, প্রভাব খাটায়।
নোভেল করোনাভাইরাসের উত্সস্থল, বাণিজ্য, নিরাপত্তা ও হংকঙের মতো ইস্যুতে বেজিং-ওয়াশিংটন সংঘাতের মধ্যেই এমন অভিযোগ এনে চিনা দূতাবাস গুটিয়ে নিতে বলা হল।
পাল্টা চিনা কনসাল জেনারেল কাই ওয়েই হিউস্টনে সংবাদ মাধ্যমকে কনস্য়ুলেট বন্ধ করার নির্দেশ অত্যন্ত অন্যায় ও চিন-মার্কিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিরাট ক্ষতিকর আখ্যা দিয়েছেন। চরবৃত্তি ও তথ্য় হাতানোর অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, তথ্যপ্রমাণ দিন, তার ভিত্তিতে কথা বলুন। আমেরিকানদের সম্পর্কে যতটা জানি, আপনারা হআইনের শাসন মানেন, দোষ প্রমাণিত হওয়া পর্যন্ত আপনি দোষী নন।
মার্কিন ন্য়য়বিচার দপ্তর ইতিমধ্যেই মার্কিন সংস্থা থেকে কোভিড-১৯ অতিমারী সংক্রান্ত ওষুধপত্রের গোপন নথি চুরির চেষ্টার দায়ে দুজন চিনা হ্যাকারকে অভিযুক্ত করেছে। ওই দুজনকে অভিযুক্ত করা চিনা কনস্যুলেট বন্ধের নির্দেশের মধ্যে যোগসূত্র থাকার কোনও ইঙ্গিত মেলেনি, তবে আমেরিকার দীর্ঘদিনের অভিযোগ, চিন হিউস্টনের দূতাবাস থেকে পুরো দেশে ঘৃণ্য কাজকর্ম চালায়।
চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন মার্কিন নির্দেশের কঠোর নিন্দা করে বলেছেন, চিনের বিরুদ্ধে আমেরিকার যাবতীয় পদক্ষেপে নয়া মাত্রা যোগ করে সামান্য সময়েরক নোটিসে হিউস্টনে চিনা কনস্যুলেট জেনারেল একতরফা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হল। আমেরিকা তা প্রত্য়াহার না করলে কঠিন প্রত্যাঘাতের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।