কিইভ: আর কদিন বাদেই রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia Ukraine Anniversary) বর্ষপূর্তি। ঠিক তার আগে ইউক্রেনের (Ukraine) রাজধানী কিইভে (Kyiv) মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের (Joe Biden) হঠাৎ সফরে তীব্র আলোড়ন বিশ্বের নানা প্রান্তে। রাখঢাক না করে এই মার্কিন ডেমোক্র্যাট অবশ্য় জানিয়েই দিয়েছেন, ইউক্রেনের আরও সমরাস্ত্র পাঠাবেন। আর যা ইঙ্গিত তার মানে করলে দাঁড়ায়, সব দিক থেকে এই লড়াইয়ে পাশে থাকবেন কিইভের।
সাইরেনে শিহরিত কিইভ...
গত এক বছরে এয়ার রেডের সাইরেন কিইভের বাসিন্দাদের কাছে বেঁচে থাকার অংশ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তার পরও আজকের দিনটা যেন কিছুটা আলাদা মনে হয়েছিল অনেকের। হঠাৎ যে ভাবে রাজধানী জুড়ে সাইরেন বাজতে শুরু করেছিল, তাতে বাসিন্দারা বুঝতে পেরেছিলেন কিছু একটা ঘটছে। আসতে তখন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গত বছর ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের মাটিতে প্রথম আক্রমণ চালিয়েছিল রাশিয়া। তার পর থেকে এই প্রথম ইউক্রেনে পা পড়ল বাইডেনের। স্বাভাবিক ভাবেই বিষয়টি নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে।
কী হল?
'হল অফ রিম্যামব্র্যান্স ফর দ্য ফলেন হিরোজ' -র মালা দিয়ে যুদ্ধে নিহতদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সঙ্গে ছিলেন জেলেনস্কিও। দুদিকে উর্দিধারী ইউক্রেনীয় সেনা। নিহতদের স্মৃতিতে কয়েক মিনিট নীরবতাও পালন করেন দুই প্রেসিডেন্ট। পরে হোয়াইট হাউস বাইডেনকে উদ্ধৃত করে একটি বিবৃত দেয়। তাতে বলা হয়েছিল, 'আকাশপথে হামলার হাত থেকে ইউক্রেনীয়দের বাঁচাতে কামান, অ্যান্টি-আর্মার সিস্টেম এবং এয়ার সারভেইল্যান্স রেডার -সহ গুরুত্বপূর্ণ জিনিস পাঠানোর কথা জানিয়ে রাখছি।' যে ভাবে যুদ্ধের বর্ষপূর্তির মুখে মার্কিন প্রেসিডেন্ট তাঁদের দেশে এসেছেন, তাঁদের সমর্থন জানিয়েছেন তাতে আপ্লুত ইউক্রেনের রাষ্ট্রপ্রধান জেলেনস্কি। পরে টেলিগ্রাম অ্যাপে ইংরেজিতে লেখেন, 'আপনার এই সফর প্রত্যেক নাগরিকের কাছে মার্কিন সমর্থনের অত্য়ন্ত শক্তিশালী প্রতীক।' ঘটনা হল, এই যুদ্ধকে কেন্দ্র করে গত এক বছরে মার্কিন-রাশিয় সম্পর্কও বহু নাটকীয়তার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। কখনও পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার, কখনও আবার তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইঙ্গিত শোনা গিয়েছে মাঝেমধ্যেই। আবার ভারতের বিরুদ্ধে রাশিয়াকে স্পষ্ট ভাষায় সমালোচনা না করার অভিযোগ এনে আন্তর্জাতিক মঞ্চে কোণঠাসা করার চেষ্টাও কম হয়নি। বিশ্ববাজারে তেলের দামে ওঠাপড়ার পিছনেও যুদ্ধের কারণ রয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু এসব পেরিয়ে একটি বিষয় সত্যি। আলোচনার মাধ্য়মে রফাসূত্র বের করার আর্জি এসেছে বার বার।
এখনও তা ফলপ্রসূ হয়নি। তার মধ্য়েই বাইডেনের ইউক্রেন সফর।
আরও পড়ুন:মিড ডে মিলে মাংস ভাত খেয়ে অসুস্থ, হাসপাতালে ভর্তি একাধিক পড়ুয়া