কুলতলি: স্কুলে মিড ডে মিল (Mid Day Meal) খেয়ে অসুস্থ একাধিক পড়ুয়া, কুলতলিতে স্কুলের সামনে অভিভাবকদের বিক্ষোভ। মিড ডে মিলে মাংস ভাত খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে বহু ছাত্রছাত্রী, দাবি অভিভাবকদের। অসুস্থ পড়ুয়াদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে। 


বিতর্কে মিড ডে মিল


এই প্রথমবার নয়। মিড ডে মিল নিয়ে একাধিকবার নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি যেমন মালদার লক্ষ্মীপুর কলোনিতে স্কুলে শিক্ষকদের পাতে পড়ে চিকেনের লেগপিস আর সরু চালের ভাত। পড়ুয়াদের জন্য ভাত হয় মোটা চালের আর তরকারি হয় ছাঁট মাংস দিয়ে, এমন অভিযোগ উঠেছিল। যা নিয়ে  বিক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকরা। স্কুলের মধ্যেই তালা বন্ধ করে রাখা হয়েছিল শিক্ষকদের।                                                              


এর আগে কখনও মিড ডে মিলে ডালের বালতির মধ্যে পড়েছে সাপ। কখনও আরশোলা। কখনও উঠেছে মজুত চালে মরা টিকটিকি ও ইঁদুর মেলার অভিযোগ। আবার কখনও অভিযোগ উঠেছে, মিড ডে মিলের খিচুড়িতে টিকটিকি পড়ার!


আরও পড়ুন, ডিএ নিয়ে অস্বস্তিতে শাসকদল, জলপাইগুড়িতে তৃণমূলেরই শিক্ষক সেল থেকে গণ পদত্যাগ শিক্ষকদের


বারংবার অভিযোগ পেয়ে ৩০ জানুয়ারি রাজ্যে মিড ডে মিলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। নতুন বছরের শুরু থেকেই মিড ডে মিলে মুরগির মাংস এবং ফল দেওয়ার কথা জানানো হয়েছিল রাজ্যের তরফে। তারপর থেকে মিড ডে মিল নিয়ে সামনে এসেছে একাধিক অভিযোগ। এই পরিস্থিতি পর্যালোচনায় কেন্দ্রীয় দল আসে।                              


মিড ডে মিল প্রকল্পের হাল হকিকত খতিয়ে দেখতে ৮ দিনে ৮ জেলায় ঘোরেন তাঁরা। পরিদর্শনের পর ফের বিকাশ ভবনে বৈঠকও করেন জয়েন্ট রিভিউ মিশনের প্রতিনিধিরা। 


মিড মিলের সুবিধা কারা পাচ্ছে? রাজ্য সরকার স্কুলগুলিকে কীভাবে টাকা পাঠাচ্ছে? যে টাকা  স্কুলগুলিতে বরাদ্দ হচ্ছে, তা কতটা কার্যকরী হচ্ছে?মিড ডে মিলের পরিকাঠামো কেমন? রান্নাঘরের কী অবস্থা? ছাত্র-ছাত্রীরা পর্যাপ্ত পুষ্টি পাচ্ছে কি না? খাবার পরীক্ষা হয় কিনা? এই সব বিষয় খতিয়ে দেখেন তাঁরা। এরই মধ্যে ফের আবার মিড ডে মিল নিয়ে অভিযোগ।