এরই মধ্যে নেটিজেনদের চোখে জল এনে দিন জর্জ-কন্যা গিগির এক ভিডিও। প্রাক্তন বাস্কেটবল তারকা স্টিফেন জ্যাকসনের কাঁধের উপর বসে ৬ বছরের গিগির মুখে যে কথা শোনা গেল, তা একাধারে প্রতিবাদ-ভালবাসা ও গর্বের। বিভিন্ন বর্ণের মানুষের মধ্যে থেকে ছোট্ট মেয়ে বলল, 'আমার বাবা পৃথিবীটাকে বদলে দিয়েছে'।
এই ভিডিওটি প্রকাশ্যে আনেন জর্জের এক সময়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু স্টিফেনই। জর্জকে 'যমজ ভাই' বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গিনি তাঁর দায়িত্ব। সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর তিনি আরও অনেক ভাইকে পাশে পেয়েছেন।
ফ্লয়েডের মৃত্যুতে বিক্ষোক্ষের আঁচ আমেরিকা সহ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। অপরাধীর কঠিন শাস্তির দাবিতে তাতে গলা মিলিয়েছেন বহু মানুষ। তাঁদের কথা ভেবেই স্টিফেনের এই বার্তা।
এর আগে, ফ্লয়েডের স্ত্রী রক্সি ওয়াশিংটন বলেন, তাঁদের সন্তান গিগি ওরফে গিয়ানা জীবনে যা যা হারাল, তা অপূরণীয়। তিনি বলেন, সবাই দিনের শেষে বাড়ি ফিরে যাবে, পরিবারকে সঙ্গে পাবে। কিন্তু গিগি তার বাবাকে আর দেখতে পাবে না।
এই কথা শোনার পরই স্টিফেন বলেন, 'আমি তোমার চোখের জল মোছার জন্য আছি। ফ্লয়েড হয়ত আর নেই। কিন্তু আমি থাকব গিগির জন্য। আমার ভাইয়ের মৃত্যুর বিচার চাইব।'
আমেরিকায় শেতাঙ্গ- কৃষ্ণাঙ্গ দ্বন্দ্ব নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কমিশন বলেছে, মার্কিন নেতাদের উচিত কড়া ভাষায় বর্ণবৈষ্যমের প্রতিবাদ করা। সমাজে যে বৈষম্য রয়েছে, তা দূর করার জন্যও পদক্ষেপ করতে হবে মার্কিন প্রশাসনকে।
এদিকে, মৃত জর্জ ফ্লয়েড করোনা পজিটিভ ছিলেন বলে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
অন্যদিকে ফ্লয়েডের ময়না তদন্তের রিপোর্ট বলছে, শ্বাসরোধ করে খুনই করা হয়েছিল তাঁকে। হাঁটু দিয়ে তাঁর গলা চেপে ধরেছিল পুলিশ। এর ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় জর্জের।