নয়াদিল্লি: একবার, দু'বার নয়, দেড় মাসে পাঁচ বার সাপের কামড় খেলেন এক ব্যক্তি। প্রতিবারই যদিও চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন তিনি। এত বার সাপের কামড় খেয়ে সুস্থ হয়ে ওঠার যেমন বিরল, তেমনই সাপের ভয়ে বাড়িছাড়া হওয়ার পরও ফের সাপের মুখে পড়ার খবরও সচরাচর চোখে পড়ে না। ফলে উত্তরপ্রদেশের ওই ব্যক্তিকে নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। (Viral News)


উত্তরপ্রদেশের ফতেপুরের ঘটনা। পাঁচ-পাঁচ বার সাপের কামড় খেয়েও যিনি বেঁচে উঠেছেন তাঁর নাম বিকাশ দুবে। জানা গিয়েছে, প্রথম বার ২ জুন সাপে কামড়া বিকাশকে। রাতে ঘুম ভেঙে বিছানা থেকে নামতেই তাঁকে সাপে কামড়ায়। তড়িঘড়ি বেসরকারি নার্সিং হোমে নিয়ে গেলে বেঁচে যান তিনি। দু'দিন সেখানে ভর্তি থাকতে হয়েছিল তাঁকে। (Uttar Pradesh Snake Bites)


এর পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন বিকাশ। দুর্ঘটনা বলে বিষয়টি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেন তাঁরা। কিন্তু এর পর ১০ জুন ফের সাপে কামড়ায় বিকাশকে। সেবারও রাতে বিছানা থেকে নেমেছিলেন তিনি। আবারও বেসরকারি ওই নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয় তাঁকে।  চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে আসেন। সেই থেকে সাপের ভয় মনে চেপে বসে বিকাশের। সাবধানে চলাফেরা করতে শুরু করেন। 


আরও পড়ুন: Narendra Modi Speech: 'শুধু বালখিল্যপনা, তোমার দ্বারা হবে না', লোকসভায় রাহুলকে কটাক্ষ মোদির


কিন্তু তার পর এক সপ্তাহও কাটেনি, ১৭ জুন আবারও সাপে কামড়ায় বিকাশকে। এবারও বাড়িতেই। অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যান তিনি। একই নার্সিংহোমে নিলে সুস্থ হয়ে ওঠেন বিকাশ। বার বার সাপে কামড়ানোর ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে তাঁর পরিবার। কিন্তু বিপদ এড়ানো যায়নি। চতুর্থবার ফের সাপের কামড় খান বিকাশষ ওই একই নার্সিং হোম তাঁকে সুস্থ করে তোলে। 


এর পর আর পরিবার ঝুঁকি নিয়ে চায়নি। পরিবার-আত্মীয়স্বজন তো বটেই চিকিৎসকরাও কিছু দিনের জন্য বাড়ি ছাড়ার পরামর্শ দেন বিকাশকে। সেই মতো ফতেপুরের রাধানগরে পিসির বাড়ি চলে যান বিকাশ। কিন্তিু পিসির বাড়িতেও সম্প্রতি ফের, পঞ্চম বারের জন্য সাপে কামড়ায় বিকাশকে। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ায় বেঁচে গিয়েছেন তিনি। 


বিকাশের যিনি চিকিৎসক, জওহর লাল জানিয়েছেন, অদ্ভুত ভাবেই বার বার সাপে কামড়েছে বিকাশকে। বাড়িতেও বেছে বেছে তাঁকেই সাপে কামড়ায়। বাড়ি ছাড়ার পরও সাপের কামড় খান তিনি। বিকাশকে বাড়ি ছাড়ার পরামর্শ তিনিই দিয়েছিলেন বলে জানান ওই চিকিৎসক। আপাতত স্থিতিশীল অবস্থা বিকাশের। কিন্তু এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। বার বার এক ব্যক্তিই কেনসাপের কামড় খেলেন, বাড়ি ছাড়ার পরও কেন নিস্তার পেলেন না, প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা। সাপের আতঙ্কে দিন কাটছে তাঁদেরও।