কলকাতা: সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পর থেকেই অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছিল এই এলাকায়। যদিও এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। রিপোর্ট অনুযায়ী, অভিযানের সময় মন্দিরে আচমকাই একটি হনুমান মূর্তি ও শিবলিঙ্গ দেখতে পায় কর্তৃপক্ষ। স্থানীয়দের দাবি, ১৯৭৮ সালে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কারণে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়ে সেই এলাকা থেকে। এরপর শুরু হয় খননকাজ।
সেই কাজ করতে গিয়েই চক্ষু চড়কগাছ। আনুমানিক ১২৫ থেকে ১৫০ বছর পুরনো এবং ৪০০ বর্গ মিটার এলাকা জুড়ে একটি কূপ পাওয়া গিয়েছে। এখানে চান্দৌসির লক্ষ্মণ গঞ্জ এলাকায় খননের সময় খুঁজে পাওয়া গেছে। চন্দৌসি নগর পালিকার আধিকারিক কৃষ্ণ কুমার সোনকার বলেন, শনিবার সাইটে খনন কাজ শুরু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিলারির রাজার মাতামহের আমলে সোপানটি নির্মিত হয়েছিল।
প্রত্নতত্ত্ববিদরা জানিয়েছেন এই জমির নিচে আগে কোনও পুকুর ছিল। সেই জলকে ধরে রাখতে কূপ তৈরি করা হয়েছিল। কূপের উপরের তলা ইট দিয়ে তৈরি, আর দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা মার্বেল দিয়ে তৈরি। তিনি বলেন, কাঠামোটিতে চারটি কক্ষ এবং একটি কূপ রয়েছে। কাঠামোর ক্ষতি এড়াতে সতর্কতার সঙ্গে খননকাজ করা হচ্ছে।
খনন কাজটি ৪৬ বছর বন্ধ থাকার পর ১৩ ডিসেম্বর সম্বলের ভস্ম শঙ্কর মন্দির পুনরায় খোলা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে তারা দখল অভিযানের সময় কাঠামোটি আবিষ্কার করেছে। মন্দিরের কূপের ভেতরে দুটি ক্ষতিগ্রস্ত মূর্তি পাওয়া গেছে বলে আধিকারিকরা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন, বিমান যাত্রীদের জন্য বিরাট সুখবর! কলকাতা এয়ারপোর্টে জলের দরে বিকোবে এই খাবার-পানীয়!
মন্দিরে শিবলিঙ্গেও ভক্তদের ফুল, জল চড়াতে দেখা গেল। উল্লেখ্য, শাহি জামা মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় জবরদখল এবং বিদ্যুৎ চুরি বিরোধী অভিযান চলছিল গত ১৪ ডিসেম্বর। সেই সময় এই মন্দিরের দরজা পুনরায় খুলে দেওয়া হয়েছিল।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে