উত্তরকাশী : হড়পাবানের গ্রাস থেকে রক্ষা পেল না সেনা ক্যাম্পও। উত্তরাখণ্ডের হর্ষিলে রয়েছে ওই ক্যাম্প। এদিন মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে তৈরি হওয়া হড়পাবানে ভেসে যান ৯ জন সেনা জওয়ান। তার পর থেকে তাঁদের আর খোঁজ মিলছে না। হর্ষিলের এই সেনা ক্যাম্প থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে ধরালী গ্রামে এদিন দুপুর ১টা ৪৫ মিনিট নাগাদ মেঘভাঙা বৃষ্টির তাণ্ডব শুরু হয়। 

গঙ্গোত্রী যাওয়ার পথে ধরালী হল প্রধান যাত্রাবিরতির জায়গা এবং এখানে অনেক হোটেল, রেস্তরাঁ এবং হোম-স্টে রয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ক্ষীর গঙ্গা নদীর জলাধার এলাকায় মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে ভয়াবহ হড়পাবান দেখা দেয়। 

এই ঘটনার ১০ মিনিটের মধ্যেই প্রায় ১৫০ কর্মী মোতায়েন করে সেনা। আটকে পড়া গ্রামবাসীর উদ্ধারকাজে সঙ্গে সঙ্গে হাত লাগায় উদ্ধারকারী দল। সেখানেই তাঁদের জরুরি পরিষেবা দেওয়া হয়। এক বিবৃতিতে সেনার তরফে বলা হয়েছে, "পরিস্থিতির দিকে ক্রমাগত নজর রাখা হচ্ছে এবং ভারতীয় সেনাবাহিনী ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ নাগরিককে সম্ভাব্য সকল সহায়তা প্রদানে সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।" 

বিস্তারিত...

এদিন উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী জেলায় আচমকা মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে হড়পাবান ও কাদা ধস নামে। যার জেরে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়। ঘটনার পর ভয়ঙ্কর সব ছবি ও ভিডিও সামনে আসে। দুর্যোগের ফলে উত্তরকাশীর ধরালী গ্রামে জল ও ধ্বংসাবশেষের স্রোত বয়ে যায়, প্লাবিত হয় এলাকা। ক্ষীর গঙ্গা নদীর ক্যাচমেন্ট এরিয়ায় মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ধরালী গ্রামে তীব্র আতঙ্ক ছড়ায়। আতঙ্কে অনেকে চিৎকার শুরু করে দেন। কাদা থেকে বেরনোর চেষ্টা করার সময় একজনকে হোঁচট খেতে দেখা যায়। 

হড়পা বানের জেরে পবিত্র গঙ্গোত্রী ধামের সব সংযোগকারী সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে একাধিক এজেন্সি কাজে নামে। পর্যটকদের রেকর্ড করা দৃশ্যে দেখা গেছে যে, পাহাড়ের উপর দিয়ে ধ্বংসাবশেষ বহনকারী একটি প্রবল স্রোত বয়ে যাচ্ছে, যা বেশ কয়েকটি বাড়িঘর এবং গাছপালা ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ঘটনায় ইতিমধ্যেই চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ৫০-এর বেশি মানুষের কোনও হদিশ মিলছে না। ঘটনার খবর পেয়ে NDRF, SDRF, জেলা প্রশাসন ও অন্যান্য দল যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু করে দিয়েছে। এক্স হ্যান্ডেলে এমনই জানিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী। পরিস্থিতির খোঁজখবর নিতে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। ধামির সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও।