চামোলি: চারধাম যাত্রার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। কেদারনাথ মন্দিরের দরজা কবে খুলবে, ঘোষণা হয়ে গিয়েছে তারও (Cracks in Badrinath)। সেই আবহেই আশঙ্কার মেঘ আকাশে। কারণ জোশীমঠের কাছে এ বার বদ্রীনাথ হাইওয়ে-তে ফাটল দেখা দিল। জোশীমঠের কাছে জেপি এবং মারওয়াড়ির মাঝ বরাবর রাস্তায় ফাটল ধরেছে। আর তাতেই নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে মানুষজনের মধ্যে (Uttrakhand Land Crack)।
জেপি এবং মারওয়াড়ির মাঝ বরাবর রাস্তায় ফাটল ধরেছে
চামোলির জেলাশাসক হিমাংশু খুরানা বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, জেপি থেকে মারওয়াড়ির মধ্যে বদ্রীনাথ হাইওয়ে-তে ফাটল ধরা পড়েছে। জেলাশাসক বলেন, "বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই। ফাটলের কারণ খতিয়ে দেখার পাশাপাশি, মানুষের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।"
শুধু তাই নয়, জোশীমঠের মতো রাস্তা বরাবর বেশ কিছু বাড়িতেও ফাটল দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন চামোলির জেলাশাসক খুরানা। তিনি বলেন, "জোশীমঠে যে ইঞ্জিনিয়ারের দল মোতায়েন রয়েছে, তাঁদের মধ্যে কয়েক জনকে পাঠানো হয়েছে। রাস্তার পাশের যে বাড়িগুলিতে ফাটল ধরেছে, সেগুলি পরীক্ষা করে দেখা হবে, যাতে কোন দিকে পরিস্থিতি এগোচ্ছে, তা বোঝা যায়।"
আরও পড়ুন: RBI Rules: ছেঁড়া নোটে কত টাকা ফেরত দেয় ব্যাঙ্ক ? কী বলছে RBI-এর নিয়ম
একের পর এক বাড়িতে ফাটল কে ঘিরে সম্প্রতি উত্তাল হয় জোশীমঠে পরিস্থিতি। কমপক্ষে ৬০০ বাড়িতে ফাটল দেখা দেয় সেখানে। বিপদ আঁচ করে স্থানীয় মানুষরে একে একে বাড়ি ছাড়তে শুরু করেন। মাটির অবনমনের ফলেই এমন পরিস্থিতি। তবে এর জন্য সরকার এবং প্রশাসনকেই দায়ী করেছেন স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি, বার বার আপত্তি জানানো সত্ত্বেও সেখানে পাহাড় কেটে রাস্তা, জলবিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ে তোলা হচ্ছে। এমনকি পর পর বাড়িতে ফাটল ধরার পরও, রাতের অন্ধকারে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ অব্যাহত থেকেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ইতিমধ্যেই ওই এলাকা খলি করে দিয়েছে প্রশাসন। গৃহহীনদের জন্য অর্থনৈতিক সাহায্যের পাশাপাশি পুনর্বাসনের পরিকল্পনাও গৃহীত হয়েছে। নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামি জানিয়েছেন, ৩ হাজার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের কাছে সাহায্য পৌঁছে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। প্রত্যেক পরিবারকে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের তরফে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এ নিয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে জানান।
বদ্রীনাথের রাস্তায় ফাটল ধরায় বাড়ছে উদ্বেগ
কিন্তু সেই আবহের মধ্য়েই এ বার বদ্রীনাথের রাস্তায় ফাটল ধরায় বাড়ছে উদ্বেগ। 'চারধাম' যাত্রার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধাম হল বদ্রীনাথ। বাকি তিনটি ধাম হল রয়েছে যমুনোত্রী, গঙ্গোত্রী এবং কেদারনাথ। উত্তরাখণ্ডের বদ্রীনাথ শহরে বদ্রীনাথ ধাম অবস্থিত। এপ্রিলের শেষ থেকে নভেম্বরের শুরু, বছরের ছয় মাস সেটি খোলা থাকে।