উত্তরকাশী: ১৫ দিন ধরে অন্ধকারে আটকে ৪১ জন শ্রমিক। আর বাইরে দিন-রাত এক করে তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। আধুনিক যন্ত্র থেকে নিত্যনতুন পদ্ধতিতে চলছে টানেল ড্রিলিংয়ের কাজ। কিন্তু বারবার হোঁচট খাচ্ছে উদ্ধারকার্য। বারবার সমস্যায় ফেলছে যন্ত্র। আর তার জেরে থমকে যাচ্ছে টানেলের ভেঙে পড়া অংশ ড্রিলিং করে পাইপ বসানোর কাজ। এবার উল্লম্ব পদ্ধতিতে উদ্ধারকাজ চালাতে চাইছেন উদ্ধারকারীরা। তার জন্য এবার উত্তরকাশীতে (Uttarkashi) হবে ভার্টিকাল ড্রিলিং (Vertical Drilling)।  


উত্তরকাশীতে কীভাবে হবে ভার্টিক্যাল ড্রিলিং?
এর জন্য চেন্নাই থেকে এসেছেন বিশেষজ্ঞরা। ভার্টিক্যাল ড্রিলিংয়ের যন্ত্র নিয়ে পাহাড়ের ওপর ওঠার জন্য ১১৫০ মিটার রাস্তা তৈরি করে দিয়েছে বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন। পাশেই তৈরি করা হয়েছে ৩০-৫০ মিটারের পায়ে চলা পথ। পাহাড়ের মাথার ওপর থেকে প্রায় ৮৮ মিটার অংশে পাথর কাটতে হবে। এই কাজ করবে ২২ মিটারের ৫টি হ্য়ামার। টানেল ফাটিয়ে ভিতরে ঢুকতে একেকটি হ্যামারের সময় লাগবে ৪ ঘণ্টার ওপর। প্রতিটি হ্যামারের মুখে লাগানো থাকবে মোটা লোহার ব্লেড। একটার পর আরেকটা, এভাবেই টানেলের (Silkyara Tunnel) ভিতর ঢোকানো হবে ৫টি হ্যামার। 


 










আগের জায়গাতেও বড় পাইপ ঢোকানোর কাজ চলছে। বারবার মেশিন খারাপ হওয়ায় এবার ম্যানুয়ালি চলছে সুড়ঙ্গের কাজ। যন্ত্র নয়, মানুষ দিয়েই পাথর কাটা হবে। আজ থেকে শুরু হবে ম্যানুয়াল ড্রিলিং। পাশাপাশি, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্টিক্যাল ড্রিলিংয়ের মাধ্যমে পাহাড়ে গর্ত খুঁড়ে রাস্তা তৈরিরও চেষ্টা চলছে। কবে শ্রমিকদের উদ্ধার করা সম্ভব হবে, দিনক্ষণ নিয়ে এখনও ঘোর অনিশ্চয়তা। অন্যদিকে, আজ থেকে সুড়ঙ্গের ভিতরে ফোনের লাইন পাতার কাজ শুরু করবে BSNL। আটক শ্রমিকরা যাতে ফোনে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে পারেন, তার জন্যই এই ব্যবস্থা। 


আরও পড়ুন: প্রতিদিন আলাদা রঙের...মুঘল সম্রাট হুমায়ুনের ছিল এই 'আজব' শখ