উত্তরকাশী : উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গে (Silkyara tunnel in Uttarakhand's Uttarkashi) আটকে পড়া শ্রমিকদের থেকে মাত্র ৫ মিটার দূরে রয়েছে উদ্ধারকারী দল। খুব শীঘ্রই সুখবর পাওয়া যাবে বলে আশায় বুক বেঁধেছে পরিবার-সহ সকলে। ২৪ জনের একটি "Rat Hole Mining" এক্সপার্ট ম্যানুয়ালি খননকাজ শুরু করেছে। সুড়ঙ্গের সরু পথ ধরে তাঁরা শ্রমিকদের উদ্ধারের চেষ্টা করছে। যদিও, এভাবে ধ্বংস্তুূপ সরিয়ে নিরাপদে শ্রমিকদের উদ্ধার করতে আরও কিছুটা সময়ে লেগে যাবে বলে আশঙ্কাও রয়েছে। এদিকে, সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিকের পরিবারকে জামাকাপড় ও ব্যাগপত্র নিয়ে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। শ্রমিকদের উদ্ধারের পর তাঁদের চিনইয়ালিসুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে।


আন্তর্জাতিক টানেলিং এক্সপার্ট আর্নল্ড ডিক্স জানান, 'আমরা আগে থেকেই ইতিবাচক ছিলাম এবং আজও আছি। আমি বলছি, আজ প্রথম দিন যখন আমার ভাল কিছু অনুভব হল। পাহাড়ের উঁচুতে খননকাজ নিখুঁতভাবে চলছে। সুড়ঙ্গে সব কিছু ভাল অবস্থায় রয়েছে। তাই আমার ভাল লাগছে। পাহাড় আমাদের একটা বিষয় বোঝাল, বিনম্র থাকতে হবে। ৪১ জন মানুষ নিরাপদে বাড়ি ফিরুন। তারপর আপনারা সবথেকে অত্যাশ্চর্য খবর রিপোর্ট করবেন।'


 






১৭ দিন পার, উত্তরকাশীর সিল্কয়ারা-বারকোট সুড়ঙ্গে এখনও আটকে ৪১ জন শ্রমিক। অব্যাহত উৎকণ্ঠা এবং উদ্বেগ। এসবের মধ্যেও আশার কথা এটাই, নতুন করে কোনও বাধার সম্মুখীন হতে হয়নি উদ্ধারকারীদের। এক সঙ্গে চলছে ভার্টিক্যাল এবং ম্যানুয়াল ড্রিলিং। পাহাড়ের উপর থেকে ভার্টিক্যাল অর্থাৎ উলম্বভাবে ড্রিলিংয়ের সময়, গতকাল জল বের হতে শুরু হয়। সেই জল বের করার ব্যবস্থা করা হয়। একই সঙ্গে টানেল থেকে অগার মেশিনের ভাঙা যন্ত্রাংশ বের করে আনার কাজও শেষ করা হয়। চলছে সুড়ঙ্গে সমান্তরাল পথে পাথর সরানোর কাজ। এদিকে, ১৬ দিন ধরে আটকে থাকার পর শ্রমিকদের মনোবল যাতে কোনওভাবে ভেঙে না পড়ে, তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। অত্যাধুনিক রেসকিউ রোবটিক সিস্টেম আনা হয়েছে। এরই মধ্যে গতকাল সিল্কিয়ারায় উদ্ধারকাজ পরিদর্শনে আসেন প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল সচিব পি কে মিশ্র ও উত্তরাখণ্ডের মুখ্যসচিব S S সান্ধু। সিল্কয়ারা-বারকোট সুড়ঙ্গের পাশে যজ্ঞের আয়োজন করা হয়।