উত্তরাখন্ড: উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আশার আলো। আটকে থাকা ৪১ জন শ্রমিককে রক্ষা করতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধারকাজ। শুরু হয়েছে সমান্তরাল পথে পাথর সরানোর কাজও। এদিন, সিল্কয়ারা-বারকোট সুড়ঙ্গের পাশে যজ্ঞের আয়োজন করা হয়। ১৬ দিন পার,উত্তরকাশীর সিল্কয়ারা-বারকোট সুড়ঙ্গে এখনও আটকে ৪১ জন শ্রমিক। অব্যাহত উৎকণ্ঠা এবং উদ্বেগ।


এসবের মধ্যেও আশার কথা এটাই, এদিন আর নতুন করে কোনও বাধার সম্মুখীন হতে হয়নি উদ্ধারকারীদের। এক সঙ্গে চলছে ভার্টিক্যাল এবং ম্যানুয়াল ড্রিলিং। সন্ধে পর্যন্ত ৩৬ মিটার ভার্টিক্যাল ডিলিং হয়েছে। পাহাড়ের উপর থেকে ভার্টিক্যাল অর্থাৎ উলম্বভাবে ড্রিলিংয়ের সময়, এদিন জল বের হতে শুরু হয়। সেই জল বের করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি, আলাদা লাইফ-লাইন চালুর কাজও প্রায় শেষের মুখে। একই সঙ্গে টানেল থেকে অগার মেশিনের ভাঙা যন্ত্রাংশ বের করে আনার কাজও শেষ হয়েছে। শুরু হয়েছে, সুড়ঙ্গে সমান্তরাল পথে পাথর সরানোর কাজ। তার জন্য ১২ জন শ্রমিককে আনা হয়েছে। তাঁরা, ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ২৪ ঘণ্টা কাজ করবেন। 


উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে ১৭ দিন ধরে আটকে রয়েছেন ৪১ জন শ্রমিক। আটকে থাকা শ্রমিকদের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছেন উদ্ধারকারীরা, দাবি মুখ্যমন্ত্রী ধামির। আটকে থাকা শ্রমিকদের ২ থেকে ৩ মিটার দূরত্ব পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে টিম, দাবি উদ্ধারকারী দলের। ভার্টিক্যাল ড্রিলিংয়ের কাজ আপাতত বন্ধ রয়েছে। গত দু’দিনে কোনও বড় বাধার মুখে পড়তে হয়নি উদ্ধারকারীদের। সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের দ্রুতই উদ্ধার করা যাবে বলে তাঁদের আশা। উদ্ধারকাজ পরিদর্শনে হাজির উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি।


আরও পড়ুন, উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আশার আলো, উদ্ধারকার্যের জন্য চলছে ভার্টিক্যাল ড্রিলিং


এদিকে, ১৭ দিন ধরে আটকে থাকার পর শ্রমিকদের মনোবল যাতে কোনওভাবে ভেঙে না পড়ে, তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। অত্যাধুনিক রেসকিউ রোবটিক সিস্টেম আনা এসেছে।এদিন সিল্কিয়ারায় উদ্ধারকাজ পরিদর্শনে আসেন প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল সচিব পি কে মিশ্র ও উত্তরাখণ্ডের মুখ্যসচিব S S সান্ধু। সিল্কয়ারা-বারকোট সুড়ঙ্গের পাশে যজ্ঞের আয়োজন করা হয়। অংশ নেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভিকে সিং। পাল্টা সোশাল মিডিয়ায় তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে উত্তরকাশী সুড়ঙ্গ ধসের জন্য দায়ী বিজেপি! অবৈজ্ঞানিক ভাবে নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। অবহেলা করা হয়েছে, হিমালয়ের ভঙ্গুরতা এবং বহন ক্ষমতাকে। লাভ বৃদ্ধির জন্য অত্যাবশ্যকীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা অবহেলা করা হয়েছে।