পার্থপ্রতিম ঘোষ,উত্তরকাশী : সুড়ঙ্গ বিপর্যয়ে উদ্ধারকাজে ( Uttarkashi tunnel collapse updates ) আশার আলো। ১৬ দিন ধরে নির্মীয়মাণ টানেলে আটকে ৪১ জন শ্রমিক। ধসে বিপর্যস্ত সুড়ঙ্গের ভিতরে মুক্তির প্রহর গুনছেন এ রাজ্যের তিন শ্রমিক। তাঁদের সঙ্গে সূর্যের আলো দেখার প্রতীক্ষায় রয়েছেন দেশের নানা প্রান্তের আরও ৩৮ জন।
বিদেশি অগার মেশিন ভেঙে চুরমার হয়ে যাওয়ায়, এখন ভরসা খোলা রয়েছে ভরসার দুই পথ। রবিবার বারকোট ও সিল্কিয়ারার মাঝে পাহাড়ের ওপর থেকে শুরু হয়েছে ভার্টিক্যাল ড্রিলিং। এই পদ্ধতিতে পাহাড়ের মাথা থেকে সুড়ঙ্গ পর্যন্ত উল্লম্বভাবে প্রায় ৮৬ মিটার পাথর কাটা হবে। এখনও পর্যন্ত ৩০ মিটারের বেশি অংশে গর্ত খোঁড়া সম্ভব হয়েছে। ভার্টিক্যাল ড্রিলিংয়ের জন্য কাজে লাগানো হচ্ছে ৫টি হ্যামার। এক একটি হ্যামারের দৈর্ঘ্য ২২ মিটার। প্রতিটি হ্যামারের মুখে লাগানো আছে মোটা লোহার ব্লেড। পাহাড়ের মাথায় ভার্টিক্যাল ড্রিলিংয়ের যন্ত্র যাতে কম সময়ে পৌঁছে দেওয়া যায়, তার জন্য দ্রুত ১১৫০ মিটার দীর্ঘ রাস্তা তৈরি করে দিয়েছে বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন।
এ ছাড়া, পাহাড়ের ওপর থেকে লম্বালম্বি কেটে আরও একটি লাইফ লাইন দ্রুত চালু করা হচ্ছে। এভাবে পাহাড় কেটে তৈরি করা ৮৬ মিটার রাস্তাও শেষ হওয়ার মুখে। এই পথেও খাবার, ওষুধ ও অন্য়ান্য প্রয়োজনীয় জিনিস সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের পাঠানোর ব্যবস্থা থাকছে। অন্যদিকে, টানেল থেকে অগার মেশিনের ভাঙা যন্ত্রাংশ বের করে আনার কাজ শেষ। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হবে মানুষ দিয়ে পাথর কাটার কাজ।
উত্তরকাশীতে সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের কাছে খাবার, পানীয় জল, ওষুধ, অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে পাইপের মাধ্যমে। ভার্টিক্যাল ড্রিলিং করতে গিয়ে কোনওভাবে যদি সেই সাপ্লাইলাইনের ক্ষতি হয়, তার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা তৈরি রাখা হচ্ছে। এদিন সিল্কিয়ারায় উদ্ধারকাজ পরিদর্শনে যান প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল সচিব পি কে মিশ্র ও উত্তরাখণ্ডের মুখ্যসচিব S S সান্ধুর।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন:
ম্যাল, টয় ট্রেন, চায়ের নস্টালজিয়া, কাঞ্চনজঙ্ঘার হাতছানি, আর কী দেখবেন দার্জিলিংয়ে ?