হুগলি: তারকেশ্বরে এবার পার্টি অফিসের সামনেই তৃণমূল নেতাকে (TMC Leader) কুপিয়ে খুনের চেষ্টা। পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য সইদুল মোল্লার ওপর হামলা চালায় ৪ তৃণমূল কর্মী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তৃণমূল নেতা কলকাতার ফর্টিস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।এই ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে তারকেশ্বর থানার পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন এফআইআরে নাম থাকা এক তৃণমূল কর্মী।


 তৃণমূলের উপপ্রধানের অভিযোগ, তৃণমূল বিধায়কের অনুগামীদের মদতে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী সরকারি জমি দখল করে রেখেছেন। জমি উদ্ধারকে কেন্দ্র করে গতকাল সন্ধেয় পিয়াসারা বাজারে পার্টি অফিসের সামনেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ বাধে। বিধায়ক অনুগামীদের বিরুদ্ধে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যকে এলোপাথাড়ি কোপানোর অভিযোগ। 


পুলিশ সূত্রেও খবর, তৃণমূলের হাতেই আক্রান্ত হয়েছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। পুলিশ বলছে, গতকাল সন্ধ্যে সাতটা নাগাদ আইমা মল পাহারপুর এ স্থানীয় তৃণমূল নেতা সাইদুল মোল্লা একটি চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেই সময় অভিযোগ, তৃণমূলেরই চারজন মোটরবাইকের চড়ে এসে হারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কোপাতে শুরু করে। খবর পেয়ে পুলিশের মোবাইল ভ্যান ঘটনাস্থলে পৌঁছলে আক্রমণকারীরা পালিয়ে যায়। আহত তৃণমূল নেতাকে নিয়ে যাওয়া হয় ব্লক প্রাথমিক হাসপাতালে।ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ আটক করে মোঃ সিকান্দার নামে একজনকে। রাতভর অভিযান চালিয়ে তারকেশ্বরের পুলিশ এই ঘটনায় মোট তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। তার মধ্যে মুন্সি আজিজুলের নাম এফ আই আর এ রয়েছে। বাকিদের ধরতে তল্লাশি চলছে।


অপরদিকে, রাজ্যের জয়নগরে জোড়া খুনের ঘটনায় এইমুহূর্তে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি।  তৃণমূল নেতা খুনের পরই গ্রাম ঘিরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। একের পর এক সিপিএম কর্মী-সমর্থকের বাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে। ঘণ্টা চারেক ধরে চলে তাণ্ডব, দাবি গ্রামবাসীদের। তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের অনুগামীদের বিরুদ্ধে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছে।


আরও পড়ুন,  খুনের ১৩ দিন পর জয়নগরে ফিরহাদ, পুরমন্ত্রীর নিশানায় সিপিএম-সহ বিরোধীরা


মৃত সইফুদ্দিন লস্কর ছিলেন তৃণমূলের বামনগাছি অঞ্চলের সভাপতি। তাঁর স্ত্রী বামনগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান। পাল্টা এক দুষ্কৃতীকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ ওঠে।স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার ভোর পৌনে ৫টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা। বাড়ির কাছেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষকৃতীরা। পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তৃণমূল অঞ্চল সভাপতিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। রাজনৈতিক কারণ? নাকি ব্যক্তিগত শত্রুতা? কী কারণে খুন খতিয়ে দেখছে জয়নগর থানার পুলিশ।



আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।