সুদীপ চক্রবর্তী, রায়গঞ্জ : করোনা আবহে আচার-অনুষ্ঠান সব শিকেয় উঠেছে। অধিকাংশ বিষয়ই এখন ভার্চুয়াল মাধ্যমে। জামাইষষ্ঠীও। কোভিডের কোপে এখনও গণপরিবহন। তাই যাতায়াত সমস্যাবহুল। এই পরিস্থিতিতে এবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে জামাইষষ্ঠীর আচার-অনুষ্ঠান সারলেন অনেক শাশুড়ি। এনিয়ে আক্ষেপের সুর ধরা পড়ল তাঁদের গলায়। 


যান চলাচল কার্যত বন্ধ। তাই এক জায়গায় থেকে আর এক জায়গায় যাতায়াতের কোনও উপায় নেই। কাজেই আজ জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে ভিন জেলা থেকে আসতে পারলেন না জামাইরা। একদিকে জামাই, মেয়ে, নাতি-নাতনিদের এদিনে কাছে না পাওয়ার বেদনা, অন্যদিকে এই কোভিড পরিস্থিতিতে তাদের সুস্বাস্থের কথা ভেবে একাকী ষষ্ঠী পালনের কথা জানালেন শাশুড়িরা। 


বিগত বছরের মতো এবারও জামাই-মেয়েদের ছাড়াই এই ষষ্ঠীর দিনে ভিডিও কলে তাদের আশীর্বাদ করতে পেরে মনকষ্টের মধ্যেও কিছুটা আনন্দ, এ যেন দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো। 


জামাইষষ্ঠী পালন করতে দেখা গেল রায়গঞ্জের একাধিক এলাকায়। তবে আগামী বছর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে সবাইকে নিয়ে যাতে ষষ্ঠী পালন করতে পারেন সেই কামনাই করলেন শাশুড়িরা।


রেখা সাহা নামে এক মহিলা বললেন, জামাই-মেয়ে আসতে পারেনি। ভিডিও কলে তাদের সঙ্গে কথা বললাম। তাদের আশীর্বাদ করলাম। সারা-জীবন সুখে শান্তিতে থাকুক এই আশীর্বাদ করলাম। ওরা এলে খুব ভাল লাগত। আনন্দ পেতাম। প্রতিবারই আসে। কিন্তু, করোনার জন্য দুবছর আশতে পারল না। প্রার্থনা করলাম, সামনের বছর যেন আমার বাড়িতে ষষ্ঠী করতে আসতে পারে।


মীনা সরকরা নামে অপর এক মহিলা বললেন, খুব মন খারাপ লাগছে। বছরে একটাই ষষ্ঠী। সবাই আসবে আনন্দ করব, তা না কী এক করোনা এসে গেল দেশে ! সব বন্ধ হয়ে গেল। আমি বলে বোঝাতে পারব না কী খারাপ লাগছে।


এদিকে জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে আজই জামাইদের মঙ্গল কামনায় সকাল থেকে না খেয়ে পুজো দিলেন শাশুড়িরা। কোনও কোনও জায়গায় মাস্ক না পরে, দূরত্ব বিধি না মেনেই ভিড়ের মধ্যে জামাইদের জন্য জন্য পুজো দিতে দেখা গেল শাশুড়িদের।