কলকাতা: ডিভোর্সের মামলা চলছে আদালতে। আইন মোতাবেক স্ত্রীকে খোরপোষ দিতে হবে স্বামীর। সেই মামলায় আদালতে সেই টাকাবাবদ ৫৫ হাজারের কয়েন দিলেন স্বামী, যা নিয়ে 'হয়রানির' অভিযোগ তুলেছেন তাঁর স্ত্রী। তবে ওই ব্যক্তির এই কাণ্ড দেখে অবাক হয়েছেন আদালতে উপস্থিত সকলেই। 


খোরপোষ বাবদ এই টাকা নিয়ে আদালতে জমা দেওয়ায় ওই ব্যক্তির স্ত্রীর তরফে 'শুধু শুধু হয়রানি'র অভিযোগ করা হয়। যদিও অই ব্যক্তি বলেন, এতি 'ইন্ডিয়ান লিগ্যাল কারেন্সি'। তাই এতি নিতে কোনও আপত্তি থাকার কথাও নয়। 


তবে আদালত দু'পক্ষের কথা শুনেই ওই ব্যক্তিকে আগামী গুনানির দিনে এই কয়েন গুনে গুনে স্ত্রীকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। ২৬ জুন পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। 


ঠিক কী ঘটনা যা নিয়ে বিতর্ক?


ওই ব্যক্তির নাম দশরথ কুমাওয়াত। তাঁর আইনজীবী রমন গুপ্ত বলেছেন, “পুরো বিষয়টি পারিবারিক বিবাদের সঙ্গে জড়িত। দশরথ কুমাওয়াতের বিয়ে হয়েছিল প্রায় ১০ বছর আগে সীমা কুমাওয়াতের সঙ্গে। বিয়ের তিন থেকে চার বছর পর দুজনের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। এরপর আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করেন স্বামী। মামলার শুনানিকালে আদালত স্বামীকে প্রতি মাসে স্ত্রীকে ভরণপোষণ বাবদ ৫৫ হাজার টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেন।


প্রসঙ্গত, গত ১১ মাস ধরে স্ত্রীকে এই টাকা দিচ্ছিলেন না দশরথ কুমাওয়াত। আদালত তাঁর বিরুদ্ধে রিকভারি ওয়ারেন্ট জারি করে। নোটিসের পরে টাকা পরিশোধ না করায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। অবশেষে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করা হয়। তবে টাকা পরিশোধের পর আদালত স্বামীকে জামিনে মুক্তি দেন।


আদালতের ছুটির কারণে এবার লিংক কোর্ট এডিজে-৮ জয়পুর মহানগর আই এ মামলার শুনানি হয়। পুলিশ গত ১৭ জুন স্বামীকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করে। ওই দিনেই সাতটি ব্যাগে এক ও দুই টাকার কয়েন নিয়ে আদালতে পৌঁছন ওই ব্যক্তির পরিবার। ব্যাগের ওজন ছিল প্রায় ২৮০ কেজি।


এ বিষয়ে সীমা কুমাওয়াতের আইনজীবী রামপ্রকাশ কুমাওয়াত বলেন- এটা মানবিক নয়। স্বামী ১১ মাস ধরে ভরণপোষণের টাকা দিচ্ছে না। এখন সে তার স্ত্রীকে হয়রানির জন্য ৫৫ হাজার টাকার কয়েন এনেছে। তাদের গণনা করতে ১০ দিন সময় লাগবে। এ বিষয়ে আদালত স্বামীকে কয়েনগুলো আদালতেই গণনা করে প্রতিটি এক হাজার টাকা মূল্যের কয়েনের ব্যাগ তৈরি করার নির্দেশ দেন।


আরও পড়ুন, সাইকেলকে বাংলায় কী বলে জানেন? অধিকাংশ মানুষই এর উত্তর দিতে পারেন না