নয়া দিল্লি: সম্প্রতি সোশাল মিডিয়ায় যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে তা দেখে ঠাণ্ডা স্রোত নেমে যায় মেরুদণ্ডে। ১২ ফুট কুমিরের কামড় থেকে কোনওক্রমে প্রাণে বাঁচলেন ওই যুবক। সামান্য ভুলের যে এত বড় খেসারত দিতে হবে। তা ভাবতেও পারেননি ওই যুবক। জন্মদিনের দিন পার্কে বেড়াতে গিয়ে এই ঘটনার সন্মুখীন হন তিনি। 


ঠিক কী ঘটেছে?


ফেসবুকে শেয়ার করা ওই ভিডিওতে দেখা যায়, নেহেমিয়াস চিপাদা নামে ওই ব্যক্তি কাগায়ান ডি ওরো সিটিতে তার জন্মদিনে অ্যামায়া ভিউ বিনোদন পার্কে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখানে একটি পুকুরের মধ্যে ছিল একটি কুমির। গায়ের রঙ দেখে তাঁকে স্ট্যাচু ভেবেছিলেন ওই যুবক। আনন্দের চোটে ছবি তুলতে পার্কের ভেতরে একটি ছোট পুলের মধ্যে নামেন তিনি। আর সেই সময়ই আক্রমণ করে কুমিরটি। 


ওই স্ট্যাচুর সঙ্গে সেলফি তোলার চেষ্টা করেন ওই যুবক। বোঝেননি কুমিরটি জীবন্ত। আচমকাই আক্রমণে হতচকিত হয়ে পড়েন তিনি। কুমিরের কড়াল কামড়ে হাত কেটে রক্তাক্ত হয় পুকুরের জল। যদিও পার্ক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হয়। চিকিৎসার জন্য উত্তর মিন্দানাও মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়।      


আরও পড়ুন, পেন্সিল চুরি করেছে সহপাঠী, নালিশ জানাতে থানায় পৌঁছে গেল শিশু,মজাদার ভিডিও ভাইরাল সোশাল মিডিয়ায়


ইতিমধ্যেই ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে। নেটিজেনরা এই কান্ডকারখানা থেকে ক্ষোভও প্রকাশ করেছে। যদিও ওই যুবকের মেয়ে জানান, "পার্কে কোনও ঘেরা জায়গা ছিল না। ছিল না কোনও সতর্কীকরণ। সেখানে থাকলে আমরা কখনই সেখানে যেতাম না।" 


এই ঘটনার পর ওই ব্যক্তির হাড় ভেঙেছে, আট জায়গায় ভয়ানক ক্ষত হয়েছে। বাম হাত এবং উরুতে সেলাইও পড়েছে। কুমিরের দাঁতের একটি অংশও ওই যুবকের হাতে ঢুকে যায়। কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল, কেন সুরক্ষা ছিল না সে প্রসঙ্গে একটি আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যাও জারি করেছে ওই পার্ক কর্তৃপক্ষ।