কলকাতা : 'আমি আপনাকে কথা দিচ্ছি, পরের বারের নৌকাবিহারে আমি আপনাকে ডাকব। অবশ্যই ডাকব। সত্যি বিজেপির অন্যায়, একে নির্বাচনে প্রার্থী দেননি, বিভ্রান্ত করেছেন। উনি কতটা কষ্ট পেয়েছেন, অন্তত নৌকাবিহারে যদি গিয়ে থাকতেন।' ঠিক এই ভাষাতেই তথাগত রায়কে খোঁচা দিলেন মদন মিত্র।


মঙ্গলবার সকালেই সদ্য বিধানসভা ভোটে পরাজিত বিজেপির কিছু তারকা প্রার্থীকে কটাক্ষ করেছিলেন ত্রিপুরার প্রাক্তন রাজ্যপাল। তথাগত রায় পায়েল সরকার, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় ও তনুশ্রী চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে কার্যত নজিরবিহীন ভাবে বলেছেন, এই মহিলারা রাজনৈতিকভাবে এমনই বুদ্ধিহীন যে তাঁরা তৃণমূলের নেতা মদন মিত্রের সঙ্গে স্টিমারে চেপে প্রমোদ ভ্রমণে গেছিলেন নির্বাচনের মাত্র একমাস আগে। এমনকী তাঁর সঙ্গে সেলফিও তুলেছেন। এঁরা প্রত্যেকেই হেরে ভূত হয়েছেন। 'নটি বিনোদিনী' বলেও কটাক্ষ করেছেন। 


যে বিষয় নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে মদন মিত্র জোড়েন, 'বাংলার মেয়েদের আপনি নটি, নর্ত্যকী বলে দিলেন, ওনার মাথায় রাখা উচিত ছিল বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে এসব কথা বলা ঠিক নয়।' এদিকে, তথাগত রায়ের 'প্লে-বয়' কটাক্ষ নিয়ে মদন মিত্রর সংযোজন, 'হ্যাঁ, আমি প্লে-বয়, তবে রাজনীতির। শুধু প্লে-বয়ই নয়, ফ্ল্যামবয়েন্ট প্লে-বয় অফ পলিটিক্স।'



এবারের বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল এবং বিজেপি দুই দলে তারকাদের যোগদানের একেবারে হিড়িক পড়ে গেছিল। তৃণমূলে যোগ দেন রাজ চক্রবর্তী, জুন মালিয়া, কাঞ্চন মল্লিক, মানালি দে, সায়নী ঘোষ, কৌশানী মুখোপাধ্যায় এবং নীল-তৃণার মতো ছোট ও বড় পর্দার চেনা মুখেরা। অন্যদিকে গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, পায়েল সরকার, তনুশ্রী চক্রবর্তী, রুদ্রনীল ঘোষ, পার্নো মিত্র ও মিঠুন চক্রবর্তীরা। 


বিধানসভা ভোটের ঠিক মুখে, রাজনীততে পা রাখা এই তারকাদের অনেককেই ভোটের ময়দানে নামিয়েছিল গেরুয়া শিবির। বিজেপির তারকা প্রার্থীদের স্ট্রাইক রেট অনেকটাই দুর্বল। যাঁদের দিকে বিশেষ নজর ছিল, সেই  শ্রাবন্তী, পায়েল, তনুশ্রী, পার্নো কেউই জিততে পারেননি। হেরেছেন পাপিয়া অধিকারীও। ব্যতিক্রম, একমাত্র অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়। দিলীপ ঘোষের এলাকা খড়গপুর সদরে জিতেছেন অভিনেতা।