হুগলি: আজ চার পুরসভার ভোটের ফল ঘোষণা। বিধাননগর, চন্দননগর, আসানসোল ও শিলিগুড়ি - এই চার পুরসভার ২২৬টি ওয়ার্ডের জন্য শুরু হয়েছে ভোট গণনা। ভাগ্য নির্ধারণ হবে চার পুরসভার সাড়ে ন’শো প্রার্থীর। প্রথমে ED বা ইলেকশন ডিউটি ভোট অর্থাৎ ভোটকর্মীদের ভোট গণনা শুরু হয়েছে। এরপর ইভিএম গণনা হবে। 


এদিকে, চন্দননগরে গণনা শুরুর আগেই অশান্তি। গণনা কেন্দ্রের সামনে জয় শ্রী রাম ও ভারত মাতা কি জয় স্লোগান ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। যদিও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ গিয়ে বিজেপি ও তৃণমূল কর্মীদের সরিয়ে দেয়। বিজেপির দাবি, তৃণমূল স্লোগান দিতে শুরু করায়, তারা পাল্টা স্লোগান দেয়। যদিও তৃণমূলের কটাক্ষ, এখন স্লোগান দিলেও, ভোটের ফল ঘোষণার পর বিজেপিকে খুঁজে পাওয়া যাবে না।


অন্যদিকে, স্ট্রং রুমে কড়া নিরাপত্তা রাখা হয়েছে। বিধাননগর পুরসভার স্ট্রং রুম তৈরি হয়েছে বিধাননগর কলেজে।রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র পাহারা। রয়েছে সিসি ক্যামেরার নজরদারি। উল্লেখ্য, ১০৬টি ওয়ার্ড বিশিষ্ট রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম পুরসভা আসানসোলে ২টি ধাপে ২২ রাউন্ড গণনা হবে। বিধাননগরে ৪১টি ওয়ার্ড। গণনা হবে ৮ থেকে ১৪ রাউন্ড। ৪৭টি ওয়ার্ড বিশিষ্ট শিলিগুড়ি পুরসভার ৬ থেকে ৭ রাউন্ড গণনা হবে। চন্দননগরে ৩৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে ভোট হয়েছে ৩২টিতে। গণনা হবে ৬ থেকে ১১ রাউন্ড। পাশাপাশি, গণনা কেন্দ্র ও তার বাইরে থাকছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা। প্রতিটি গণনা কেন্দ্রেই থাকছে সিসি ক্যামেরায় নজরদারি। গণনাকেন্দ্র থেকে ২০০ মিটার পর্যন্ত জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। 


আরও পড়ুন, প্রাথমিক ট্রেন্ড, আসানসোলে ৬ টি ওয়ার্ডে এগিয়ে তৃণমূল


এছাড়াও, ভোট গণনার আগের রাতে আসানসোলেও ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। আসানসোল পলিটেকনিক কলেজের গণনা কেন্দ্রের সামনে বিজেপির বিক্ষোভ চলে। স্ট্রং রুমের সিসি ক্যামেরা একঘণ্টার বেশি বন্ধ ছিল বলে অভিযোগ। এই ভোটে কারচুপির আশঙ্কা বিজেপির। ভোট গণনার আগে পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ, এমনটাই খবর।