কলকাতা: আগামী কিছুক্ষণের মধ্যেই কলকাতায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের। কলকাতার একাংশে ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা। কলকাতা ছাড়াও উত্তর ২৪ পরগনার একাংশে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
উত্তরবঙ্গে গতকালই চলে এসেছে বর্ষা। গতকাল বৃষ্টিতে ভিজেছে দক্ষিণবঙ্গও। তবে আগামী ১১ জুনের আগে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা আসার সম্ভাবনা নেই। এমনই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। দক্ষিণবঙ্গে এখনই তীব্র গরমের হাত থেকে রেহাইয়ের সম্ভাবনা নেই।আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, রবিবার হিমালয় সংলগ্ন পাঁচ জেলায় ঢুকে পড়েছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। সেই মৌসুমী বায়ুর হাত ধরেই রবিবার উত্তরবঙ্গে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। প্রবল বৃষ্টির জেরে সিকিমের বিভিন্ন জায়গায় নেমেছে ধস। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাড়ি, রাস্তা। তবে হতাহতের কোনও খবর নেই।
উত্তরবঙ্গে যেদিন বর্ষা ঢুকে পড়ে, সেদিন দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতেও বৃষ্টি হয়। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের গতকালের পূর্বাভাসে বলা হয়, আগামী ১১ জুন উত্তর বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের হাত ধরে ঢুকবে বর্ষা। ততদিন পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে গরম এবং অস্বস্তি বজায় থাকবে। তবে মাঝেমধ্যেই প্রাক-বর্ষার বৃষ্টি কিছুটা স্বস্তি এনে দিতে পারে। কলকাতার পাশাপাশি, রবিবার বৃষ্টি হয়েছিল বিভিন্ন জেলাতেও। বীরভূমে আচমকাই বজ্রবিদ্যুত্সহ বৃষ্টি হয়। বীরভূমের সিউড়িতেও বজ্রবিদ্যুত্ সহ বৃষ্টি হয়। অন্যদিকে, পূর্ব মেদিনীপুরে মহিষাদলে অমৃতবেড়িয়ায় ঝড়-বৃষ্টিতে ভেঙে পড়ে গাছ। ছিঁড়ে যায় বিদ্যুতের তার। বৃষ্টি হয় হুগলি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার কিছু জায়গায়।
উল্লেখ্য, সারা দেশে এবার মোটের উপর বৃষ্টিপাত হবে স্বাভাবিক।কিন্তু উত্তর-পূর্ব ভারতে বৃষ্টি হবে স্বাভাবিকের থেকে কিছুটা কম। কিছুটা কম বৃষ্টি হবে অসম, বিহার, ঝাড়খণ্ড ও বাংলার কিছু জেলায়। এমনই পূর্বাভাস মৌসম ভবনের। তাদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, উত্তর-পশ্চিম ভারতে স্বাভাবিক (৯২-১০৮ শতাংশ) বৃষ্টি হবে। দক্ষিণ উপদ্বীপ অঞ্চলেও ৯৩-১০৭ শতাংশ অর্থাৎ স্বাভাবিক বৃষ্টি হবে। পূর্ব ও উত্তর-পূর্বে স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা কম বৃষ্টি হবে। মধ্য ভারতে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ১০৬ শতাংশ বৃষ্টি হতে পারে।