সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর: কালনা থেকে বহরমপুর হয়ে রায়গঞ্জ। লোকসভা ভোটের নিরিখে যে সব জায়গায় তৃণমূল পিছিয়ে রয়েছে সেখানেই দলের হাল ধরতে দৌড়চ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার রায়গঞ্জ স্টেডিয়ামে দলীয় সভায় যোগ দেবেন তৃণমূল নেত্রী। সভায় থাকবেন দুই দিনাজপুরের তৃণমূলের নেতা, কর্মীরা। সভাকে কেন্দ্র করে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পাশে মাইক লাগানোয় তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
এক সুরে তৃণমূলকে আক্রমণ করেছে বিরোধীরা। বিজেপির উত্তর দিনাজপুরের জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ি বলেন, “তৃণমূলের মানুষের অসুবিধা নিয়ে চিন্তিত নয়, মেডিক্যাল কলেজে প্রচুর রোগী রয়েছেন, তাদের অসুবিধার কথা না ভেবেই এতো মাইক লাগানো হয়েছে, আসলে সার্কাস পার্টি হয়ে গেছে।“ জেলার কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি পবিত্র চন্দের কথায়, মেডিক্যাল কলেজের পাশে কোনওভাবেই মাইক লাগিয়ে সভা করা উচিত নয়। সব জেনেও প্রশাসন কেন অনুমতি দিল? বিনাশকালে তৃণমূলের বুদ্ধিনাশ হয়েছে।
যদিও মাইক-বিতর্কে বিরোধীদের অভিযোগ গুরুত্ব দিতে রাজি নয় তৃণমূল। উত্তর দিনাজপুরের তৃণমূল মুখপাত্র সন্দীপ বিশ্বাস জানান, এসবই বিরোধীদের অপপ্রচার, স্টেডিয়ামের ঘেরা জায়গায় সভা হচ্ছে সব নিয়ম মেনে। রোগীদের কোনও অসুবিধা হবে না, মেডিক্যাল কলেজের ঢিল ছোড়া দূরত্বে অমিত শাহ সভা করেছিলেন, তখন কেন বিজেপি চুপ ছিল?
উল্লেখ্য, দলীয় নেতৃত্ব বহুবার হস্তক্ষেপ করলেও, তৃণমূল জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের সঙ্গে ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক করিম চৌধুরীর বিবাদ বারবার প্রকাশ্যে এসেছে। সদ্য বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন কালিয়াগঞ্জের পুর প্রশাসক তথা তৃণমূল নেতা কার্তিক পাল। একুশের মহারণের আগে নেত্রী কী বার্তা দেন তা নিয়ে আগ্রহ বাড়ছে তৃণমূলের নেত্রী, কর্মীদের।