আশাবুল হোসেন, ভুবনেশ্বর: পরিকল্পনা ছিলই। সেই মতোই ভুবনেশ্বরে ওড়িশার (Odisha CM) মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের (Naveen Patnaik) সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (West Bengal CM Mamata Banerjee)। ২০২৪ সালে লোকসভা ভোট। আর বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি আঞ্চলিক শক্তিগুলিকে একজোট করতে চান। সব মিলিয়ে তাঁর এই ওড়িশা-সফর ও সে রাজ্যের মুখ্য়মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের মধ্যে অন্য কোনও তাৎপর্য খুঁজে পাচ্ছেন কেউ কেউ। 



কী জানা গেল?
ওড়িশা-সফরের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে গিয়েছিলেন, নবীন পট্টনায়েকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ হওয়ার কথা তাঁর। কিন্তু রাজনৈতিক মহলের ধারণা, এর মধ্যে অন্য কোনও তাৎপর্যও থাকতে পারে। আগেই সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদবের সঙ্গে দেখা করেছেন তৃণমূলনেত্রী। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের তাই প্রশ্ন, ওড়িশার মুখ্য়মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে কি তাই রাজনৈতিক কোনও আলোচনাই হবে না? সূত্রের খবর, স্রেফ সৌজন্য সাক্ষাৎ নয়। রাজনৈতিক আলোচনাও হতে পারে দুই মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে। এমনিতেই আঞ্চলিক শক্তিগুলিকে একজোট করার বার্তা দিয়ে রেখেছেন তৃণমূলনেত্রী। তার সলতে পাকানোর প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে বলে মনে করেন অনেকে। কালিঘাটে মমতা-অখিলেশ বৈঠকের পর সেই প্রক্রিয়া গতি পেয়েছে বলে মনে করেন কেউ কেউ। যদিও সপা প্রধান জানিয়ে দিয়েছেন, কংগ্রেস ও বিজেপি--দুই তরফের থেকেই সম দূরত্ব বজায় রেখে চলতে চান তিনি। সম-দূরত্ব নীতির কথা তৃণমূলের পক্ষ থেকে এখনও সরাসরি বলা হয়নি ঠিকই। তবে তাঁর এই সফর ঘিরে উৎসাহের অন্ত নেই রাজনৈতিক মহলে। 


প্রেক্ষাপট...
'দেশের গণতন্ত্র কীভাবে বাঁচানো যাবে, তা নিয়ে আমরা একজোট হব। ২০২৪ সাল পর্যন্ত কোনও দলের এমন আচরণ করা উচিত নয়, যাতে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির ক্ষতি হয়।' দিনছয়েক আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর বার্তা দিয়েছিলেন সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদব। ওই দিন কলকাতায় সমাজবাদী পার্টির কর্মসমিতির বৈঠক হয়। সেই উপলক্ষ্য়েই শহরে আসেন সমাজবাদী পার্টির সভাপতি ও উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব। সেই কর্মসূচির ফাঁকেই কালীঘাটে তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে দেখা করেন তিনি। এদিকে পুরী যাওয়ার পথেও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হতে শোনা গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। প্রসঙ্গত, মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ২৯ ও ৩০ মার্চ ধর্না দেওয়ার কথা তৃণমূলনেত্রীর। অম্বেডকরের মূর্তির সামনে কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে টানা ২ দিন ধর্না দেবেন তিনি। তার আগে ১০০ দিনের টাকা নিয়ে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ফের সরব হন মমতা। 


আরও পড়ুন:'ভেবেছিলাম, কিছুই বলব না...আবার বলা শুরু করলাম', কী বললেন পার্থ?