মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: পাণ্ডবেশ্বর স্টেশন চত্বরের পর এবার লাউদোহার একাধিক জায়গায় দুর্নীতির অভিযোগে পোস্টার পড়ল জিতেন্দ্র তিওয়ারির নামে। শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা, দাবি গেরুয়া শিবিরের। মানতে নারাজ ঘাস-ফুল শিবির।
মাত্র ১১ দিনের ব্যবধান। তার মধ্যেই নিজের খাসতালুকে ফের দুর্নীতির অভিযোগে পোস্টার পড়ল পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়কের নামে। সোমবার লাউদোহার একাধিক এলাকায় এধরনের পোস্টার দেখা যায়। হাতে লেখা পোস্টারগুলিতে স্থানীয় বিধায়কে বিরুদ্ধে কয়লা ও বালি পাচারের অভিযোগ করা হয়েছে। নিচে রয়েছে পাণ্ডবেশ্বর নাগরিক সমাজের নাম।
রবিবার লাউদোহা ব্লকে বাইক মিছিল করে তৃণমূল। সেই মিছিলে ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, মিছিল যে রাস্তা দিয়ে গিয়েছিল এদিন সেখানেই পোস্টার দেখা যায়। কিন্তু কারা দিল এই পোস্টার? এ নিয়ে জিতেন্দ্র তিওয়ারির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা হলেও, তিনি ফোন ধরেননি। অন্যদিকে পোস্টারের নেপথ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে বলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল।
পশ্চিম বর্ধমানের বিজেপির সাধারণ সম্পাদক শ্রীরূপ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘পাণ্ডবেশ্বরের ব্লক সভাপতি নরেন চক্রবর্তীর সঙ্গে জিতেন্দ্র তিওয়ারির দীর্ঘদিন ধরেই গোলমাল চলছে। বালি, কয়লা, লোহা পাচারের বখরা নিয়ে গোলমাল। যাঁরা এতদিন টাকা পেত তাঁরা এখন পাচ্ছেন না। তাঁরাই পোস্টার দিয়েছে ৷’’ লাউদোহার তৃণমূল কংগ্রেস ব্লক সভাপতি সুজিত মুখোপাধ্যায় জানান, ‘‘আমাদের গতকাল জিতেন্দ্র তিওয়ারির নেতৃত্ব মিছিল হয়। এসব দেখে ভয় পেয়ে বিজেপি এসব কাজ করছে। আমাদের দলে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই।’’
দলে কোণঠাসা হওয়ার পর, ৩ ফেব্রুয়ারি পাণ্ডবেশ্বর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় প্রথমবার দুর্নীতির অভিযোগে পোস্টার পড়ে। সেবারও, পোস্টারে জিতেন্দ্র তিওয়ারির নাম উল্লেখ ছিল না, ঘুরিয়ে স্থানীয় বিধায়ক অর্থাৎ তাঁর বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছিল।