কলকাতা: হাওড়ার নিশ্চিন্দায় এবার কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় খেলা হবে স্লোগান। বোলপুরে অনুব্রত মণ্ডলের মুখেও একই কথা। পিছিয়ে নেই বিজেপিও। পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে দিলীপ ঘোষ তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বললেন, এবার তাঁরা খেলবেন।
‘খেলা হবে’। বিধানসভা ভোটের আগে এই শব্দবন্ধ ঘিরে সরগরম বাংলা। স্লোগান যুদ্ধে একে অপরকে টেক্কা দেওয়ার চেষ্টায় তৃণমূল ও বিজেপি। রবিবার হাওড়ার ডোমজুড় বিধানসভা এলাকার নিশ্চিন্দায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিছিল থেকে শোনা গেল খেলা হবে স্লোগান। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে দলের কর্মীদের নিয়ে এই স্লোগান তুললেন শ্রীরামপুরের তৃণমূলের সাংসদ।
আর তাঁদের এই স্লোগানকে সমর্থন করে ফের খেলা হওয়ার কথা বললেন বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলেন, সরকারি কর্মচারীরা চাকরি করে বাড়ি ফিরবে, অফিসে বসে থাকবে না। খেলা সব জায়গায় হবে ঘরেও হবে, ঘরের বাইরে ও হবে। বঙ্গ রাজনীতিতে বিখ্যাত হয়ে যাওয়া দুই শব্দের স্লোগান নতুন মোড়কে শোনা গেল বোলপুরেও। এখানে তৃণমূল প্রভাবিত বীরভূম জেলা কর্মচারী ফেডারেশনের সভায় উঠল রাজনৈতিক স্লোগান। যার পুরোভাগে ছিলেন দেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান। বীরভূমের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান প্রলয় নায়েক বলেন, নকুলদানা খেলা হবে , চরম চরম খেলা হবে , পগারপার করারও খেলা হবে।
তবে কথার লড়াইয়ে পিছিয়ে থাকতে চায় না গেরুয়া শিবিরও। এনিয়ে শাসকদলকে পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপি। যে কথা প্রায় প্রতিদিন রাজ্যের শাসক দলের নেতাদের মুখে শোনা যাচ্ছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরের সভা থেকে এবার সেকথাই বললেন দিলীপ ঘোষ। রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, তৃণমূল খেলতে খেলতে হাঁপিয়ে গেছে, এবার আমরা খেলব, জনগণের খেলা হবে, বিজেপি আর মানুষের খেলা হবে।
তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, বাম জমানায় দিলীপ ছিলেন অপরিণত, গণহত্যা দেখেননি। যে কেশপুরে লড়াই করেছিল তৃণমূল, ইতিহাস ভূগোল না জেনে আলটপকা মন্তব্য করছেন দিলীপ। আদি বনাম নব্য বনাম পরিযায়ী বিজেপির সঙ্গে লড়াই, খেলা তো তৃণমূলে বলেছে।