রুমা পাল ও অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা: ভোটের কাজে ভাড়া নেওয়া বাস, মিনিবাসের ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে দরবার করল মালিকদের ৫টি সংগঠন। তাদের দাবি, বকেয়া না মেটানো হলে এবং এবার ভাড়া না বাড়লে তারাও কমিশনের সঙ্গে লুকোচুরি খেলবে। কমিশন সূত্রে দাবি, কোথায় কত টাকা বকেয়া রয়েছে, তা খোঁজ নিয়ে দেখা হবে। 


ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস অ্যান্ড মিনিবার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের জয়েন্ট সেক্রেটারি প্রদীপ নারায়ণ বসু জানান, ‘‘দাবি না মিটলে কমিশনের সঙ্গে লুকোচুরি খেলা হবে।’’


খেলা হবে স্লোগানে মুখরিত বাংলা। এবার নির্বাচন কমিশনকে বার্তা দিতে গিয়ে, বাস সংগঠনের নেতার মুখেও শোনা গেল সেই স্লোগান। সোমবার নির্বাচন কমিশনে দরবার করেন বেসরকারি ৫টি বাস, মিনিবাস, ট্রাক মালিকদের সংগঠনের প্রতিনিধিরা। তাঁদের দাবি, ২০১৯-এ লোকসভা ভোটে যে বাস নেওয়া হয়েছিল, সেই বাবদ ৫ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। এবার ভোটের কাজে বাস নেওয়ার আগে নির্বাচন কমিশনকে সেই টাকা মেটাতে হবে।  


বাস, মিনিবাসের ভাড়া ও কর্মীদের দৈনিক ভাতাও বাড়াতে হবে।  দাবি না মিটলে কমিশনের সঙ্গে লুকোচুরি খেলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বাস মালিকদের সংগঠন। কীভাবে লুকোচুরি খেলা হবে? বাস মালিক সংগঠনের দাবি, দাবি না মিটিয়ে জোর করে বাস আটকালে, চাবি নিয়ে বাস ছেড়ে চলে আসবেন চালক। এনিয়ে বাস মালিক সংগঠনের পাশেই দাঁড়িয়েছে তৃণমূল। বিজেপি অবশ্য এর মধ্যে ঢুকতে চায়নি। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ও পরিষদীয় প্রতিমন্ত্রী তাপস রায় জানান, ‘‘ওঁদের ৫ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে।  বকেয়া না মেটালে ওঁরাই বা কী করবেন?’’ রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য জানান, ‘‘এটা বাস মালিক, রাজ্য সরকার ও কমিশনের বিষয়। ওরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে বিষয়টি মিটিয়ে নিক।’’


এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশন সূত্রে দাবি, ভোটের কাজে নেওয়া বাসের জন্য ২০১৪ সাল থেকে অনলাইনে পেমেন্ট শুরু হয়। কোথায় কী টাকা বকেয়া রয়েছে, সে বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে। ভোটের কাজে নেওয়া বাস, মিনিবাসের ভাড়াবৃদ্ধি ও জ্বালানির দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে আগামী সপ্তাহে রাস্তায় নামছে মালিকদের সংগঠন।