করুণাময় সিংহ, মালদা: আগামী ৫ বছরের জন্য নবান্ন দখলে কোন দলের পথ পরিষ্কার, তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছু দিন। কিন্তু তার আগেই রাস্তা নিয়ে রক্তারক্তি ঘটে গেল পুরাতন মালদার মহিষবাথানীতে। রাস্তার জমি নিয়ে বিবাদের জেরে বিজেপি নেতা ও তাঁর স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।


স্ত্রীকে নিয়ে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন মহিষবাথানী গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪ নম্বর বুথের বিজেপি সভাপতি। অভিযোগ, তখনই তৃণমূলের লোকজন তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ।


স্থানীয় সূত্রে খবর, স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন স্ত্রীও। গুরুতর জখম অবস্থায় মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন দম্পতি। স্থানীয় সূত্রে খবর, বিজেপি নেতার বাড়ির পাশ দিয়েই রাস্তা তৈরি হচ্ছে। আক্রান্তের পরিবারের দাবি, আপত্তি জানানো সত্ত্বেও তাঁদের জমির উপর দিয়ে রাস্তা তৈরির কাজ চলছে। যদিও তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, সরকারি জমিতেই রাস্তা তৈরি হচ্ছে।


এই নিয়ে বিবাদ চলছিল। আক্রান্ত বিজেপি নেতার পরিবারের অভিযোগ, এই কারণেই স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী ও তৃণমূল নেতা ফিকু শেখ ও তাঁর দলবল দম্পতির উপর হামলা চালায়। আক্রান্ত বিজেপি নেতার ছেলে জানান, ‘‘বাবার পা ভেঙে গেছে, দুটো পায়ে আঘাত, মায়ের দাঁত ভেঙেছে। জায়গা নিয়ে গন্ডগোল ছিল। ফিটুর নেতৃত্বে হামলা, শাস্তি চাই, বাবার নেতৃত্বে এলাকায় বিজেপি শক্তিশালী হচ্ছিল, তাই রাগ আছে।’’


অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেতা ফিকু শেখ। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, সরকারি জমিতে রাস্তা তৈরিতে বাধা দিয়েছেন বিজেপি নেতা। সেই কারণেই জনরোষের শিকার হয়েছেন তিনি। এখানে রাজনীতির যোগ নেই। মারধরের সময়ে তিনি ঘটনাস্থলেও ছিলেন না বলে দাবি করছেন তৃণমূল নেতা।