সন্দীপ সরকার, কাঁথি : শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক কেরিয়ার শেষ করার জন্যই নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাঁড়িয়েছেন, ঠিক এই ভাষাতে আগেই তোপ দেগেছিলেন, এদিন সুর চড়িয়ে শিশির অধিকারী বলেছেন, ‘নন্দীগ্রামে দাঁড়ানো ওনার ভুল সিদ্ধান্ত। তিনি হারবার জন্য দাঁড়িয়েছেন আবার কী বলব।’
মেদিনীপুরে একের পর এক সভা করে শুভেন্দু অধিকারীর ও অধিকারী পরিবারের নাম না করে ক্রমাগত আক্রমণ শানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করেই গদ্দার, মীরজাফর বলে আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি। এদিন শান্তিকুঞ্জে বসে যে যার পাল্টা দিলেন শিশির অধিকারী। তৃণমূল সুপ্রিমোর দিকে আক্রমণ শানিয়ে তাঁর তোপ, 'বেইমানি আমি করিনি। আমার পরিবারের সঙ্গে বেইমানি করেছে ওরা। ওঁকে মুখ্যমন্ত্রী করার যে ডাক উঠেছিল তখন যদি কাঁধে নিয়ে আমি এখানে নিয়ে না আসতাম। যদি নন্দীগ্রামে সঙ্গে না থাকতাম, যদি সিঙ্গুর আন্দোলনে সাথ না দিতাম, যদি কেশপুরে দাঁতে দাঁত দিয়ে লড়াই না করতাম তাহলে উনি মুখ্যমন্ত্রী হতেন? আপাতত নিজের অস্তিত্ব রক্ষা করার জন্য যা ইচ্ছা বলছেন।’
দু-তিনদিনের মধ্যেই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানাবেন বলেছেন শিশির অধিকারীর বড় ছেলে দিব্যেন্দু অধিকারী। শান্তিকুঞ্জের বড় ছেলেও যে শুভেন্দু ও তাঁর রাস্তাতেই সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন শিশির। সঙ্গে কেন অধিকারী পরিবারের ঘাসফুল শিবিরত্যাগ সেটা বোঝাতে শিশির অধিকারীর সংযোজন, 'ভাইপোকে প্রতিষ্টা করে দিতে কলকাঠি নেড়ে শুভেন্দুকে সরাতে চেয়েছিলেন।' মঙ্গলবারই শান্তিকুঞ্জের সামনে দিয়ে রোড শো করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে বুধবারই কাঁথিতে নির্বাচনী জনসভা করেন নরেন্দ্র মোদি। মঞ্চে তিনি আসতেই সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া দীর্ঘদিনের তৃণমূল সাংসদ সৌজন্য প্রণাম করেন প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে। তারপর যে প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘দীর্ঘ ৩৫ বছর পর কোনও প্রধানমন্ত্রী পূর্ব মেদিনীপুরে পা রাখলেন।’ তাঁর সঙ্গে কী কথা হল জানতে চাইলে শুভেন্দু অধিকারীর বাবার সংযোজন, ‘আমার কিছু কষ্ট আছে, দুঃখ আছে, সেগুলো বলেছি। এখানকার মানুষের সব কথা জানিয়েছি।’