কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: সোশ্যাল মিডিয়ার পর এবার দেওয়াল লিখনেও টুম্পা সোনা ব্রিগেড চল। জামালপুরের দেওয়াল টুম্পা সোনাকে নিয়ে ব্রিগেড যাওয়ার কার্টুন আঁকলো বামেরা।


সোশ্যাল মিডিয়াতে বামেরা সরকারিভাবে স্বীকৃতি না দিলেও বেশ কয়েকজন সিপিএম নেতৃত্ব সহ রাজ্য সম্পাদকও এই গান পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়াতে। এবার ডিওয়াইএফআই, এসএফআইয়ের দেওয়াল লিখনে টুম্পা ব্রিগেড চালাতে শীলমোহর দিল বামেরা।


২৮ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দিয়েছে বাম ও কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই তার প্রচারও শুরু করেছে বাম কংগ্রেস। ব্রিগেডের সমর্থনে বাম কংগ্রেস যৌথ মিছিলও করেছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে বাম নেতারা টুম্পা সোনার প্যারোডি গান শেয়ারও করেছেন। এবার জামালপুরের শুড়ে কালনা এলাকায় বামেদের ব্রিগেডে সমাবেশকে সামনে রেখে কার্টুনের মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে, একটি ছেলে একটি মেয়েকে হাত ধরে নিয়ে যাচ্ছে এবং মেয়েটির হাতে সিপিএমের দলীয় পতাকা।


পাশাপাশি কার্টুনের নীচে লেখা আছে চলো টুম্পা সোনা ব্রিগেড চলো। অন্যদিকে দেওয়াল জুড়ে নারী সুরক্ষা থেকে কৃষি আইন বাতিলের দাবি যেমন লেখা আছে, তেমনই তৃণমূল ও বিজেপির 'খেলা হবে' স্লোগানকে কটাক্ষ করে লেখা আছে 'খেলা দেখতে আমরা ভোট দিইনা'।


ব্রিগেডের সমর্থনে বামেদের দেওয়াল লেখায় 'টুম্পা সোনা' থেকে 'খেলা হবে'  লেখাকে কটাক্ষ করেন জামালপুর ব্লক তৃণমূলর যুব সভাপতি ভূতনাথ মালিক। তাঁর অভিযোগ চটকদারী গানের সুর ব্যবহার করে মানুষের মনে জায়গা পেতে চাইছেন। লোকসভা ভোটে পরিকল্পিতভাবে বামেদের ভোট রামে কনর্ভাট করেছে। আসলে বামেদের পায়ের তলায় মাটি সড়ে যাওয়ায় চটকদারি দিয়ে মানুষের মন পেতে চাইছে। মানুষ মমতা বন্দ্যোপধ্যায়ের উন্নয়নে বিশ্বাস করে।


আরও একধাপ এগিয়ে বিজেপির জামালপুর বিধানসভার কনভেনার জিতেন ডকালের দাবি বামেরা গণ আন্দোলন ও গণ সংগীত ভুলে গিয়ে টুম্পা সোনায় মেতেছে। টুম্পা সোনাকে সামনে রেখে ব্রিগেড ভরাতে চাইছে। ক্ষমতায় আসতে পারবে না বুঝতে পেরে বাংলার সংস্কৃতিকে বিপন্ন করার চেষ্টা করছে। যদিও তৃণমূল বিজেপিকে পাল্টা কটাক্ষ করে সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য দীপঙ্কর দে বলেন, আমাদের টুম্পা সোনা আদরের, আমাদের টুম্পা সোনারা নিরাপত্তা, স্বচ্ছ নিয়োগ এবং খাদ্যের দাবি করে। আর ওদের টুম্পা সোনারা কোকেন এবং সোনা পাচার করে।