পূর্ব মেদিনীপুর ও কলকাতা:  আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে ফের রাজ্যকে নিশানা রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের। বললেন, ‘রাষ্ট্রীয় মদতে এই হিংসা বন্ধ করুন।  সংবিধানের ক্ষমতা প্রয়োগে বাধ্য করবেন না। ভোট পরবর্তী হিংসা বহু মানুষ ঘরছাড়া। শীতলকুচি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর তৎপরতা দেখা গেছে। এখানে অত্যাচারিতদের জন্য কী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী? ‘দয়া করে ঘুমিয়ে থাকবেন না।’নন্দীগ্রামে গিয়ে এভাবেই রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছেন রাজ্যপাল।
এর প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, অবসাদগ্রস্ত বৃদ্ধ হুমকি দিচ্ছেন। ভোটের আগে সাংবিধানিক পদে থেকে পরিবর্তনের ডাক দিয়েছেন। সেই ডাক প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় অবসাদে ভুগছেন তিনি। লজ্জা থাকলে তাঁর উচিত, রাজ্যপাল পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ফিরে যাওয়া।


উল্লেখ্য, তৃণমূল সরকার তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যে ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের পর থেকেই রাজ্যপালের সঙ্গে সরকারের সংঘাত ফের শুরু হয়েছে। এবার ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ ঘিরে সংঘাত শুরু হয়েছে। হিংসার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রাজ্যপালের সফরের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এক্ষেত্রে সাংবিধানিক রীতি-নীতি ও প্রোটোকলের উল্লেখ করেন। কিন্ত সেই আপত্তি মানেননি রাজ্যপাল। কোচবিহার ও অসমের পর এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে ভোট-পরবর্তী অশান্তির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এসেছেন।


এদিন নন্দীগ্রামে গিয়ে ফের রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। কেন্দামারির শ্যামাসুন্দরী চকে গিয়ে অটোয় চড়ে তিনি ঘুরে দেখেন ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি। এর আগে হেলিপ্যাডে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যপালের এদিনের নন্দীগ্রাম সফর সম্পর্কে প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূলের কটাক্ষ, ‘উনি গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল’।


গতকাল অসমের রানপাগলি শিবিরে যান রাজ্যপাল। সেখানে পশ্চিমবঙ্গ থেকে পালিয়ে কিছু মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন বলে অভিযোগ। যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে মঙ্গলবার থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সফর শুরু করেছেন রাজ্যপাল। তিনি কোচবিহারের মাথাভাঙা, শীতলকুচি, সিতাই ও দিনহাটায় গিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপি সাংসদ নিশিথ প্রামানিক।