নয়াদিল্লি : কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে চর্চা এখন সর্বত্র। শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য, সংবাদপাঠ থেকে শৈল্পিক কাজকর্ম, এআই ক্রমে ক্রমে পা রেখেছে সর্বত্র। বহু বিশেষজ্ঞরাই দাবি করছেন আগামী দিনে সবক্ষেত্রেই রাজ করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা AI। দেশে-বিদেশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) ব্যবহার বাড়ছে। আর সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সাধারণ মানুষের মনে বাড়ছে  চাকরি হারানোর শঙ্কা। আর এই আশঙ্কার কথা এবার উঠে এল লোকসভাতেও। 


AI রাজ করলে আগামী দিন কেমন হবে,  সত্যিই কি বহু মানুষের চাকরি খেয়ে নেবে এই প্রযুক্তি? লোকসভার প্রশ্ন তুললেন শ্রীরামপুরের সাংসদ।   কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জিগ্যেস করেন, বেশ কিছু সমীক্ষা ও তার রিপোর্ট বলছে  AI এর জন্য এই সরকারের আমলেই বিরাট সংখ্যক মানুষের চাকরি চলে যেতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ম্যানুফ্যাকচারিং কাস্টমার সার্ভিস থেকে ডেটা এন্ট্রি, বিভিন্ন ক্ষেত্রেই মানুষের কাজ করে ফেলতে পারে এআই। তাই বেশ কিছু ক্ষেত্রে মানুষের চাকরি চলে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দেশে বেকারত্বও বাড়ছে। এই কর্মহীনতার সুরাহা করতে এই  সরকার কী পদক্ষেপ করছে? যদি ৬৯ মিলিয়ন মানুষের চাকরি চলে যায়, তাহলে এই সরকার কী করবে ?


তৃণমূলের আইনজীবী সাংসদের এই প্রশ্নের উত্তরও দেন কেন্দ্রীয় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য।  কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে আশ্বাস দিয়ে মান্ডব্য বলেন, এখনই চিন্তার কিছু নেই।  যখন মোবাইল ফোন এবং কম্পিউটার এসেছিল, তখনও একই রকম আশঙ্কা করা হয়েছিল। কিন্তু এমনটি হয়নি। মোবাইলের পরিষেবা বৃদ্ধি পেয়েছে, ইন্টারনেট পরিষেবা অনেক উন্নত হয়েছে, তাতে কি রেলওয়ে বা বিমানে ভিড় কমে গিয়েছে ? মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ প্রয়োজন হচ্ছে না ? তাই এখনই চিন্তার কিছু নেই। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি, ভারতের অর্থনীতি ৬ থেকে ৭ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অর্থনীতি যখন এই গতিতে বৃদ্ধি পায়, তখন উৎপাদন থেকে শুরু করে পরিষেবা খাত পর্যন্ত সব কিছুতেই কর্মসংস্থান বাড়ে, তাই এখনই চিন্তা করার দরকার নেই। ন্যাশনাল সার্ভিস পোর্টালে ৩০ লাখেরও বেশি যুবক - যুবতী চাকরি রয়েছে। দেশে চাকরির অভাব নেই।


কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলে ধরেন। সাংসদ প্রশ্ন তোলেন, কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কাউকে চাকরি থেকে সরাতে গেলে নির্দিষ্ট আইন মেনে করতে হয়। কিন্তু বেসরকারি ক্ষেত্রে কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই সরকারের। তাদের 'হায়ার অ্যান্ড ফায়ার' পলিসি আটকাতে সরকার কী ভাবছে? 


কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এর জবাবে বলেন, কোনও চাকরিদাতাই তার কর্মচারীকে তাড়াতে চায় না। হয় তারা অন্য জায়গায় চাকরি পেয়ে চলে যান, অথবা তাঁকে ভাল জায়গায় পাঠানো হয়, অথবার যদি কোনও ইউনিট বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়। এরপর মান্ডব্য মোদি সরকারের আমলে কর্মসংস্থান ও সেই সংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরার ক্ষেত্রে 'কী কী উন্নতি হয়েছে' তার তথ্য তুলে ধরেন। 


 


 


আরও খবর :


অবশেষে শহরজুড়ে দিনভর শ্রাবণধারা, কলকাতায় কবে কবে তুমুল বৃষ্টি?