কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই স্কুল খোলার তোড়জোড় শুরু। উত্তর থেকে দক্ষিণে সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে কলকাতা পুরসভার তরফে চলছে স্যানিটাইজেশন। এতদিন বন্ধ থাকায় স্কুলের ছত্রে ছত্রে প্রকট দৈন্য দশা। এরই মধ্যে উদ্বেগের পারদ চড়িয়ে রাজ্যে ফের দৈনিক করোনার সংক্রমণ হাজার ছুঁইছুঁই। স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী রাজ্যে একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৯৭৬ জন। ছাত্র ছাত্রী ও শিক্ষকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর রাজ্য প্রশাসন।


কী কী জানান হয়েছে গাইডলাইনে? 


১৬ নভেম্বর থেকে খুলছে স্কুল, গাইডলাইনের খসড়া তৈরি হয়েছে সেই মতো। এক সময়ে সব ক্লাস নয়, সমবেত প্রার্থনায় নিষেধাজ্ঞা। পড়ুয়াদের ভিড়ে এড়াতে স্কুল শুরু ও ছুটির সময় বদল। ক্লাস শুরুর আগে ১০ মিনিট করোনা সচেতনতার পাঠ। আপাতত খেলাধুলো, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে লাগাম। একটি বেঞ্চে বসা যাবে না ২ জনের বেশি। পড়ুয়াদের সঙ্গে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদেরও মাস্ক বাধ্য়তামূলক। স্কুলের ভিতরে আপাতত ঢুকতে পারবেন না অভিভাবকরা। গাইডলাইন অনুমোদনের জন্য পাঠানো হল নবান্নে। 


আরও পড়ুন, বৃহস্পতিবার থেকে তিনদিনের লকডাউন সোনারপুরে, কোভিড বিধি পালনে কড়া পদক্ষেপ


আপাতত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত খুলছে স্কুল। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত অনলাইনেই পড়াশোনা। স্কুলের পাশাপাশি, ১৬ নভেম্বর থেকে খুলছে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ও। রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তে খুশি পড়ুয়ারা।  ইতিমধ্যে করোনাবিধি মেনে স্কুল খুলতে তোড়জোর শুরু করেছে স্কুল ও কলেজ কর্তৃপক্ষগুলি। স্যানিটাইজ করা হচ্ছে ক্লাসরুম। হচ্ছে স্কুল চত্বর সাফাই। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসনও।


আরও পড়ুন, বরফের চাদরে ঢাকল কেদারনাথ, তীর্থযাত্রীদের ভিড় দেবভূমিতে


এদিকে, বুধবার প্রকাশিত সরকারি বুলেটিন বলছে, দৈনিক সংক্রমণে শীর্ষে কলকাতা, একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৭২ জন। কলকাতায় একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়ে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। উদ্বেগ বাড়িয়ে জলপাইগুড়িতে একদিনে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এই সময় পর্বে। ২৫ জন সংক্রমিত হয়েছেন সেখানে। উত্তর ২৪ পরগনায় একদিনে আক্রান্ত ১৫৯ জন, ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। সরকারি হিসেব বলছে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৯ জন। সেখানে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।