নয়াদিল্লি: করোনা টিকা সবার আগে বার করার জন্য গোটা বিশ্বে লড়াই চলছে। পিছিয়ে নেই ভারতও। এবার ভারত সরকার আনল একটি কোভিড ভ্যাকসিন অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল রেজিস্ট্রি পোর্টাল। ভারতে তৈরি হওয়া যাবতীয় করোনা টিকার সমস্ত তথ্য এখানে পাওয়া যাবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন এই ঘোষণা করেছেন।

পোর্টালটি হোস্ট করছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ বা আইসিএমআর। তাদের এক অনুষ্ঠানে গিয়ে হর্ষ বর্ধন জানিয়েছেন, করোনা টিকা সংক্রান্ত গবেষণা এবং টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল নিয়ে যাবতীয় তথ্য এই পোর্টালে পাওয়া যাবে, যে কেউ ইচ্ছে করলেই অনলাইনে এই পোর্টাল দেখতে পারবেন। তিনি বলেছেন, দেশের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত গবেষণায় আইসিএমআর সব সময় প্রথম সারিতে রয়েছে, করোনা রুখতে বৈজ্ঞানিক প্রচেষ্টা ও গবেষণার মাধ্যমে তারা এখন গোটা দেশকে পথ দেখাচ্ছে। মেডিক্যাল সায়েন্সে তাদের অবদানের কথা জেনে গোটা দেশ গর্বিত হবে।

করোনার টিকা তৈরির বিষয়ে জানতে স্বচ্ছতায় জোর দিতে চায় কেন্দ্র। মন্ত্রী বলেছেন, করোনার এই পরিস্থিতিতে টিকা সংক্রান্ত যাবতীয় পদক্ষেপগুলি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। তাই এ ব্যাপারে যাবতীয় তথ্য প্রকাশ্যে আনা হচ্ছে। আগে জানা যাচ্ছিল, এই পোর্টালে শুধু ভারতে করোনা টিকা তৈরি সংক্রান্ত তথ্য থাকবে। এখন ঠিক হয়েছে, শুধু করোনা নয়, বিভিন্ন অসুখের টিকা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্যই মিলবে এতে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, আইসিএমআরের ১০০ বছরের ইতিহাসে এর সঙ্গে জড়িত বিজ্ঞানীদের অবদান আগামী যুগের বৈজ্ঞানিকদের প্রেরণা জোগাবে।

তিনি বলেছেন, যেভাবে ভারতে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা বাড়ছে ও মৃত্যুর হার কমছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে, দেশের সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করোনা রুখতে কার্যকর পদক্ষেপ করেছে। আগে যেখানে একটা ল্যাবরেটরি ছিল, সেখানে আজ ১,৮০০-র বেশি ল্যাবরেটরি। সক্ষমতা বাড়ানোর পথে অনেকটা হেঁটে এসেছি আমরা। প্রতিদিন ১৫ লাখ করোনা পরীক্ষা হচ্ছে।

ভারতে যে তিনটি করোনা টিকা তৈরি হচ্ছে, তার মধ্যে সবার থেকে এগিয়ে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি টিকা কোভিশিল্ড। এর তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। এটি তৈরির দায়িত্ব পেয়েছে সিরাম ইনস্টিটিউট। দেশীয় পদ্ধতিতে যে দুটি টিকা তৈরি হচ্ছে তাদের একটি হল ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন, এর মানব দেহে দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা চলছে। অন্যটি হল জাইডাস ক্যাডিলার তৈরি টিকা, এ তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদনের অপেক্ষায়।