নয়াদিল্লি: নয়া নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) ইস্যুতে বিতর্কের মধ্যেই তিনটি প্রতিবেশী মুসলিম রাষ্ট্রের সংখ্যালঘুদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার সমর্থনে সওয়াল করে কংগ্রেসকে কটাক্ষ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডির। তিনি বলেছেন, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশে ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার ওই সংখ্যালঘুদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়াটা নৈতিক দায়িত্ব আমাদের। ভারতে না এলে কোথায় যাবেন ওঁরা? ইতালিতে?
জন্মসূত্রে ইতালিয় কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর নাম না করেই তাঁর এহেন শ্লেষ বলে মনে করা হচ্ছে। গাঁধী পরিবারের ইতালি-যোগের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি আরও বলেন, ইতালি তো গরিব বলে হিন্দু বা শিখদের নেবে না।
পাকিস্তানে হিন্দু, শিখ, খ্রিস্টান ও জৈনদের ওপর ধারাবাহিক নির্যাতনের জেরে ওই গোষ্ঠীগুলির জনসংখ্যা আগের ৩০ শতাংশ থেকে ব্যাপক হ্রাস পেয়েছে বলে দাবি করে রেড্ডি অভিযোগ করেন, ওই অ-মুসলিমদের আশ্রয় ও নাগরিকত্ব দেওয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব হলেও বিরোধীরা এ নিয়ে সস্তা রাজনীতি করছে, নাগরিকত্ব আইনে সাম্প্রতিক বদল সম্পর্কে ভুল বুঝিয়ে, বিভ্রান্তি ছড়িয়ে আমজনতাকে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, বিক্ষোভে প্ররোচিত করছে।
এর আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন সম্পর্কে মিথ্যা প্রচার, বিভ্রান্তি ছড়িয়ে কংগ্রেস ‘দেশ বিভাজন’ ঘটাচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলেন, বলেন, রাহুল গাঁধী যদি ‘অনুপ্রবেশকারীদের ভালবাসেন’, তবে ওদের ইতালি নিয়ে যেতে পারেন। রাহুল সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, জাতীয় নাগরিকপঞ্জী ও ন্যাশনাল পপুলেশন রেকর্ডকে ‘নোটবন্দি-২’ আখ্যা দিয়ে গরিবের ওপর কেন্দ্রের ‘ট্যাক্স’ বা কর বলেছিলেন, এসব ‘নোটবন্দির চেয়েও বেশি ভয়ঙ্কর’ বলে অভিযোগ করেছিলেন। এজন্য পাল্টা কেন্দ্রীয় পশুপালন, ডেয়ারি ও মত্স্যচাষ মন্ত্রী রাহুলকে কটাক্ষ করেন।
রাহুলকে ‘অপরিণতমনস্ক মন্তব্যে’র জন্য তীব্র বিদ্রূপ করে রেড্ডি বলেন, রাহুল গাঁধীকে বলছি, উনি (সিএএ ও জিএসটির মধ্যে) ফারাক না বুঝলে এ নিয়ে ভাল শিক্ষকের কাছে পাঠ নিন। এনপিআর, এনআরসি-কোনওটা সম্পর্কেই ওঁর কোনও ধারণা নেই বলে মনে হয়।