নয়াদিল্লি: জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখকে ভারতের মানচিত্র থেকে আলাদা করে দেখানোর অভিযোগ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) বিরুদ্ধে।  হু-এর ওয়েবসাইটে বিভিন্ন রং ব্যবহার করে এমন ভাবে ২০১৯-এ পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাবে তৈরি হওয়া জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখকে দেখানো হয়েছে যেন তারা ভারতের অংশ নয়। লন্ডনের বাসিন্দা জনৈক ভারতীয় তথ্য় ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞের প্রথম এটা নজরে পড়ে হোয়াটসঅ্য়াপে। এটা জানাজানি  হওয়ার পর প্রবাসী  ভারতীয়দের মধ্যে অসন্তোষ ছড়িয়েছে। ওয়েবসাইটে ভারতকে নেভি ব্লু রঙে দেখানো হলেও জম্মু কাশ্মীর, লাদাখকে দেখানো হয়েছে ধুসর রঙে।  আর আরেক বিতর্কিত এলাকা আকসাই চিনকে ধুসর রঙের মধ্যে নীল স্ট্রাইপে  দেখানো হয়েছে, যেমন দেখানো হয়েছে চিনকেও।  হু-এর কোভিড-১৯ পরিস্থিতি সংক্রান্ত ড্যাশবোর্ডে রয়েছে মানচিত্রটি।  ড্যাশবোর্ডে করোনাভাইরাস অতিমারীতে কোন দেশে সংক্রমণ কেমন, সেই  তথ্য রয়েছে। যদিও মানচিত্রের ব্যাপারে তারা রাষ্ট্রপুঞ্জের রূপরেখা, রীতিনীতি মেনে চলে বলে দাবি করেছে হু।


ওই ভারতীয় তথ্য ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞের বক্তব্য, জম্মু কাশ্মীর, লাদাখকে ভারতের বাইরে বলে দেখানোর পিছনে চিনের হাত থাকতে পারে। তিনি সওয়াল করেছেন, চিন হু-কে  প্রচুর অর্থ দেয়, হয়তো সেজন্যই তারা  এমনটা করেছে। জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখকে আলাদা রঙে দেখিয়েছে মানচিত্রে। পঙ্কজ নামে ওই তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞকে উদ্ধৃত করে সংবাদ মাধ্যম বলেছে, হু-এর মতো এত বড় দায়িত্ব পাওয়া একটি বৃহত্ সংগঠন এটা করতে পারে দেখে বিস্মিত বোধ করছি। ভারত যেহেতু এখন ওদের চেয়ার পদে রয়েছে, সেজন্য় হু-এর এ ধরনের কাজকর্মে ইন্ধন না দেওয়াটা আরও বেশি জরুরি। তিনি বলেছেন, আমি জানি, হু-কে চিন প্রচুর অর্থ দেয়, পাকিস্তান চিন থেকে লোন পায়। তাই বিষয়টা জিইয়ে রাখতে চায়। আমার ধারণা, এর পিছনে চিনের হাত আছে, কেননা হু-তে চিনের ক্ষমতা, প্রভাব বিশাল।

প্রসঙ্গত, গত বছরই হু-এর এক্সিকিউটিভ বোর্ডে চেয়ার পদে দায়িত্বভার নিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডঃ হর্ষবর্ধন।

সোস্যাল মিডিয়া অ্য়াট রিচ ইন্ডিয়া (ইউকে) নামে একটি প্রবাসী ভারতীয় সংগঠনের প্রধান নন্দিনী সিংহ হু-কে  আক্রমণ করে বলেছেন, ভারতের অঞ্চলকে আলাদা আলাদা রঙে দেখানো থেকে স্পষ্ট, চিনের সঙ্গে আঁতাত আছে ওদের। গোটা বিশ্বকে পিপিই ও ভ্যাকসিন সরবরাহ করা সহ কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ভারত যা করেছে, সেজন্য  ধন্যবাদ দেওয়ার বদলে এটা তাকে আঘাত করার বেপরোয়া প্রয়াস। ভারতের কাছে ক্ষমা চেয়ে ভুল শুধরে নেওয়া উচিত হু-র।