মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও জানিয়েছেন, জি২০ নেতারা নিজেদের মধ্যে আলোচনায় একমত হয়েছেন যে, করোনা অতিমারীর বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী লড়াইয়ে অবিলম্বে তথ্য আদানপ্রদান অত্যন্ত জরুরি। আমেরিকা করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে দুনিয়াব্যাপী তার শরিকদের সঙ্গে কাজ করছে বলে জানান তিনি। বলেন, আমরা আলোচনা করেছি, সব দেশগুলির নিজেদের মধ্যে অবিলম্বে তথ্য, পরিসংখ্যান আদানপ্রদান কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং এই কাজটা ইতিমধ্যেই চলছে।
পাশাপাশি করোনাভাইরাস সংক্রমণে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত না হওয়া অঞ্চলগুলিকে পুনরায় খুলে দেওয়ার ব্যাপারে তিনি হয়তো সিদ্ধান্ত নেবেন বলেও জানান ট্রাম্প। বলেন, আমাদের দেশকে কাজে ফিরতে হবে। হয়তো দেশের যে বিরাট অংশে করোনার প্রভাবে ততটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, সেই অংশের কথা বিবেচনা করব। অবশ্য ওইসব এলাকা পুনরায় খুলে দেওয়ার ব্যাপারে সময়সীমা ঠিক করা নিয়ে তাঁর প্রশাসন বিশেষজ্ঞদের মতামত নেবে, আগামী সপ্তাহ নাগাদ আরও কিছু এ ব্যাপারে তথ্য দিতে পারবেন বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে নিশ্চিত করোনা সংক্রামিতের সংখ্যার বিচারে বিশ্বে চিনকে ছাপিয়ে এক নম্বরে চলে এসেছে আমেরিকা। ট্রাম্পের অবশ্য এ নিয়ে বক্তব্য, চিনকে বিশ্বাস করি না, কেউ জানে না ওখানে কী হচ্ছে। দেশটাকে পছন্দ করি বটে, তবে কেউ ওখানে কী হয়, জানে না।
হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের কোভিড-১৯ ট্র্যাকারের গতকালের তথ্য, আমেরিকায় মারণ ভাইরাস সংক্রমণ হয়েছে ৮২৪০৪টি, সেখানে চিনে সংখ্যাটা ৮১৭৮২।
এর মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু-এর তথ্য, সর্বত্র লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। সর্বত্র হাহাকার।